এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাবের উদ্যোগে শিল্পকলায় দু’দিনব্যাপী প্রদর্শনী শুরু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৫ PM , আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:১৯ PM
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আলোকচিত্রীদের তোলা ৮ হাজারেরও বেশি আলোকচিত্র থেকে বাছাইকৃত ১২৭টি ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা হলে দু’দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। দেশের অন্যতম বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) ফটোগ্রাফি ক্লাবের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এদিন সকালে দু’দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এআইইউবি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের (বিওটি) চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার, বিওটি সদস্য শানিয়া মাহিয়া আবেদীন, এআইইউবি’র রেজিস্ট্রার গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) ড. মো. জাহিদুল ইসলাম খান এবং এআইইউবির প্রক্টর ড. মনজুর এইচ খান।
ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। নিজস্ব ছবি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘টেল অফ দ্য ডার্করুম’—শিরোনামে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ছাড়াও আমেরিকা, কানাডা, নরওয়েসহ মোট সাতটি দেশের ফটোগ্রাফারদের ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। অন্ধকারে থাকা যেকোনো গল্পই সবার সামনে আসে কোনো না কোনো ফটোগ্রাফারের হাত ধরে। ফটোগ্রাফাররা যেন অন্ধকারে থাকা সেসব গল্প আরও বেশি করে সেবার সামনে তুলে ধরেন এবং উদ্বুদ্ধ হন—সেজন্য এ আয়োজন; আমরা তাদের উৎসাহ দিতে চাই।
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জাতীয় র্যাঙ্কিংয়ের সুপারিশ ইউজিসির
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) ফটোগ্রাফি ক্লাবের উদ্যোগে ২০১৭ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ‘টেল অফ দ্য ডার্করুম’। প্রথম দুটি সিরিজ দেশে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিত্র বাংলাদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে। মাঝে করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে বন্ধ ছিল ধারাবাহিক আয়োজন। আয়োজকদের প্রত্যাশা, সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তারা আগামীদিনে এ ধরনের আয়োজনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারবেন।
আয়োজনের শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট। নিজস্ব ছবি।
এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৬০টিরও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী ফটোগ্রাফাররা মোট ৮ হাজার ৪৭টি ছবি জমা দিয়েছেন। তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত এ আয়োজনে মোবাইল ফোন বিভাগে জমা পড়েছে মোট ৪ হাজার ২৩৯টি, যা একক কোনো বিভাগে সর্বোচ্চ। আয়োজনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছবি জমা পড়েছে ক্যামেরায় তোলা ছবি। এ ক্যাটাগরিতে জমা দিয়েছেন ৩ হাজার ৩২৩ জন অংশগ্রহণকারী। এছাড়াও আয়োজনের স্টোরি ক্যাটাগরিতে জমা পড়েছে মোট ৮১টি কারুকাজ।
আরও পড়ুন: দেশে ব্যয়বহুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে
অংশগ্রহণকারীদের এসব ছবি যাচাই-বাছাই করে প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত করেন বিচারক প্যানেল। এবারের আয়োজনে বিচারক প্যানেলে ছিলেন আব্দুস সামাদ আলিম, কুদরত ই খোদা, খন্দকার তানভীর মুরাদ এবং অনুষ্ঠানের কিউরেটর জুয়েল পাল।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাবের সদস্যরা। নিজস্ব ছবি।
আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সাদমান আলম সাদী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ২০১৭ সালে শুরু করার পর এটি আমাদের তৃতীয় আয়োজন। এবারই আমরা দেশের বাইরে থেকেও ছবি পেয়েছি। এবার তিনটি ক্যাটাগরিতে ছবিগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। আমরা আশা করছি, আগামীদিনে আমরা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে আরও বেশি সাড়া পাবো এবং আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে পারবো।
আরও পড়ুন: এক বছরে দেশ ছেড়েছেন ৫২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষার সুযোগ থাকা আবশ্যক বলে মনে করেন এআইইউবি’র বিওটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভাইস-চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার। পুরো প্রদর্শনী ঘুরে দেখে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০টিরও বেশি ক্লাব রয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সব ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমের সুযোগ থাকা দরকার। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের আগামীদিনের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়তে কাজ করবো এবং উৎসাহ দিবো—এটা আমাদের একটি অন্যতম শক্তিও।
প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পর অতিথিদের ফটোসেশন। নিজস্ব ছবি।
শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজনকে উৎসাহব্যঞ্জক বলেন মনে করেন এআইইউবি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের (বিওটি) চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন। পুরো প্রদর্শনীর ঘুরে দেখার পর তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আশা করছি, মেধাবীরা সামনে আসার সুযোগ পাবেন। আগামীদিনেও যেন এধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখা যায়—সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।