সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেতা
‘যারা জুলাইয়ের চেতনাকে ভয় পায়, তাদের বিরুদ্ধে এই জোট মোক্ষম জবাব’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩২ PM
যারা জুলাইয়ের চেতনাকে ভয় পায়, তাদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১০ দলের আসন সমঝোতা সবচেয়ে মোক্ষম জবাব বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও কৃষি সম্পাদক গোলাম মর্তুজা সেলিম। একই সঙ্গে ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈলবাসীকে সালাম ও আদাব জানিয়ে তিনি লিখেছেন, আজ একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বাস্তবতা স্পষ্ট হয়ে গেছে। গণবিরোধী রাজনীতি, সুবিধাবাদী চক্রান্ত ও পুরনো বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও শক্তিশালী করতে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ১০টি দলের সঙ্গে একটি নির্বাচনী জোট গঠন করেছে। এই জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পীরগঞ্জ–রাণীশংকৈল আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জনাব মিজানুর রহমান মাস্টার এই জোটের মনোনীত প্রার্থী।
তিনি লিখেছেন, আমি কৃষিবিদ গোলাম মর্তুজা সেলিম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও কৃষি সম্পাদক, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এই সিদ্ধান্ত কোনো আপোষ নয়; এটি নতুন বাংলাদেশের পক্ষে একটি কৌশলগত রাজনৈতিক সমঝোতা। যারা ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করে, যারা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ভয় পায়, তাদের বিরুদ্ধে এই জোটই সবচেয়ে মোক্ষম জবাব।
গোলাম মোস্তফা সেলিম আরও লিখেছেন, গণভোট ও শাপলা কলির বয়ান নিয়ে আমরা যে রাজনীতি করছি, তা কোনো ব্যক্তির নয়, এটা একটি আদর্শের রাজনীতি। সেই আদর্শ থেকেই আমি জোটের প্রার্থী জনাব মিজানুর রহমান মাস্টারের প্রতি আমার পূর্ণ রাজনৈতিক সমর্থন ব্যক্ত করছি।
তিনি লিখেছেন, পীরগঞ্জ–রাণীশংকৈলবাসী এবার সিদ্ধান্ত নেবে পুরনো ব্যর্থ ব্যবস্থাকে আবার ফিরিয়ে আনবে, নাকি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় ভর করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে রায় দেবে। আমার বিশ্বাস গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষেই রায় দেবে প্রাণাধিক প্রিয় স্বজনেরা। এনসিপির সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান-আবেগ নয়, শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। কিন্তু মাঠ ছাড়বেন না। ঘরে বসে থাকার রাজনীতি এই সময়ে অপরাধ। জোটের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করাই এখন আমাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব।