প্রথমবারের মতো ধানের শীষ পেতে যাচ্ছেন যেসব সাবেক ছাত্রদল নেতা

যেসব সাবেক ছাত্রদল নেতা প্রথমবারের মতো ধানের শীষ পেতে যাচ্ছেন
যেসব সাবেক ছাত্রদল নেতা প্রথমবারের মতো ধানের শীষ পেতে যাচ্ছেন  © টিডিসি সম্পাদিত

দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক পর মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) বারবার এই ঘোষণা দিয়ে বলে আসছে, এবারের জাতীয় নির্বাচন হবে ইতিহাস সৃষ্টিকারী ও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা ও প্রস্তুতিতে ‘নানান বিরোধ ও মত পার্থক্য সত্ত্বেও’ ভোটের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলো।

জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যেই দেশের তিনশত সংসদীয় আসনে নিজেদের প্রার্থীর মনোনয়ন ঘোষণা করেছে। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দীর্ঘদিন একটি ‘অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসলেও এখনও পর্যন্ত নিজেদের মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। নানান বিতর্ক, বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনের যুগপৎ সঙ্গী জোটগুলোর দীর্ঘ প্রার্থী তালিকা ও নিজ দলে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আধিক্য এবং দ্বন্দ্বই বিএনপিকে অনেকটা বেকায়দায় ফেলেছে বলে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় আভাস পাওয়া গেছে। এর মধ্যেও ‘বিতর্ক ও বাধা’ পেরিয়ে প্রার্থী তালিকা প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। দলের নেতারা এবং স্বয়ং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই তালিকা চূড়ান্তকরণের কাজ করছেন।  

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবীণ ও নবীনের সমন্বয়ে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। সেক্ষেত্রে বিতর্কবিহীন অভিজ্ঞ প্রবীণ ও বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্রনেতাদের বিবেচনায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য সাবেক ছাত্রনেতাদের রাজনৈতিক বায়োডাটার চুল-চেরা বিশ্লেষণ চলছে। এরমধ্যে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নিজ নিজ নির্বাচনি আসনে দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠন গোছানো ও ভোটারদের মনজয় করার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। 

জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো জনগণের সামনে ‘গ্রহণযোগ্যতা’র পরীক্ষায় নামছেন বেশকিছু সাবেক ছাত্রদল নেতা। প্রথমবারের মতো দলের ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা প্রায় শতাধিক হলেও চূড়ান্তভাবে কমপক্ষে ত্রিশজন সাবেক ছাত্রদল নেতা দলের টিকেট পেতে পারেন। এর মধ্যে আছেন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, বেনজির আহমেদ টিটো, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ-ইসহাক সরকার-হামিদুল ইসলাম হামিদ, জয়ন্তু কুমার কুন্ডু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, হাসান মামুন, রাজিব আহসান, মামুনুর রশীদ মামুন, আকরামুল হাসান মিন্টু, ওবায়দুল হক নাসির, আব্দুল মতিন, আবু বকর সিদ্দিক, শেখ শামীম ও তরুণ দে, মোস্তফা খান সফরি, হায়দার আলী লেলিন, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু-দুলাল হোসেন-সাইফ মো. জুয়েল, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, মফিজুর রহমান আশিক প্রমুখ। 

এদিকে, সাবেক ছাত্রদল নেতাদের মতো বর্তমান কমিটির ছাত্রনেতারাও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য দলের মনোনয়ন চাইবেন। এবারের নির্বাচনে ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতিসহ কয়েকজন মনোনয়ন চাইবেন বলে ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়। তারা প্রত্যেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে সবাই যার যার নির্বাচনি আসনে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। চলতি কমিটির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া এবং সহ-সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ হিরা, রেজোয়ানুল হক সবুজ ও আবু সুফিয়ান।

বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম ঢাকা-১০ ধানমন্ডি-কলাবাগান, হাজারীবাগ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নেত্রকোনা, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো টাঙ্গাইল-৪ আসনে, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ফরিদপুর-৪ ভাঙ্গা-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসনে, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল নরসিংদী-৪ মনোহরদী-বেলাব আসনে, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ নোয়াখালী-৫ কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব রাজধানীর ঢাকা-৯ সবুজবাগ-মুগদা এলাকায়, সাবেক সহসভাপতি হাসান মামুন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বরিশাল-৪ দশমিনা-গলাচিপা, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ-ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার-হামিদুল ইসলাম হামিদ ঢাকা-৭ লালবাগ, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ঝিনাইদহ, সাবেক সহসভাপতি আমিরুজ্জামান খান শিমুল ঝিনাইদহ-৩ মহেশপুর-কোর্টচাঁদপুর, মামুনুর রশীদ মামুন নোয়াখালী-১ চাটখিল-সোনাইমুড়ি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু নরসিংদী-৩ শিবপুর, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মতিন নওগাঁ, সাবেক সহ-সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক রাজশাহীর পুটিয়া-দূর্গাপুর, শেখ শামীম ও তরুণ দে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নড়াইল, মোস্তফা খান সফরি চাঁদপুর-২ সদর-মতলব, হায়দার আলী লেলিন ভোলা সদর, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু-দুলাল হোসেন-সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বরিশাল-২, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ যশোর-৬ কেশবপুর, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বগুড়া-৫, ইকবাল হোসেন শ্যামল নরসিংদী-৫, বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামলে দুই দুইবার গুমের শিকার মফিজুর রহমান আশিক চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। 

বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম বলেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শুধু ছাত্ররাজনীতিতে নয়, টোটাল রাজনীতিতে আমার অনেক জুনিয়ররা অনেক আগেই এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। আমি মনোনয়ন পাইনি। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। কখনও দলের বিরুদ্ধাচরণ করিনি।

তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) অন্তত জানেন, জীবনে যেসব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, সব সময় বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছি। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট নির্বাচনে তারা (আওয়ামী লীগ) ২৪টি নিয়ে নিয়েছে। একমাত্র আমি বিপুল ভোটে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। বার সমিতির নির্বাচনে যতবার নির্বাচন করেছি, বিজয়ী হয়েছি। তাই আমার আত্মবিশ্বাস আছে, আমাকে দল মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেখানে চলমান সেখানে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করতে আগ্রহী। তাছাড়া আমার আসনে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমার অংশগ্রহণ সব সময় থাকে। মানুষের পাশে সব সময় থাকার চেষ্টা করি। সেজন্য বিজয়ের বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিএনপি তারুণ্য নির্ভর রাজনৈতিক দল। দেশ পুনর্গঠনে তরুণদের শক্তি ও উদ্যমকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে দেশের উন্নয়ন করতে চায় তাছাড়া আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই তারুণ্যের প্রতীক। তাই আসন্ন নির্বাচনে তিনি (তারেক রহমান) ছাত্রদলের সাবেক তরুণ নেতাদের মনোনয়ন দিয়ে দলের নতুন নেতৃত্ব তুলে আনবেন। আমাকে মনোনয়ন দিলে ইনশাল্লাহ আমি বিজয়ী হয়ে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করবো।

ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিগত ১৯ বছর বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের স্বৈরশাসনের মধ্যেও আমরা জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে বিএনপির আদর্শ ধারণ করে রাজপথে ছিলাম। শত নির্যাতনের মুখেও আমরা জনগণের পাশে থেকে দলকে সংগঠিত করতে কাজ করেছি। সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছি। তাই বিএনপি মনোনয়ন দিলে অবশ্যই আমার নির্বাচনি এলাকার সাধারণ মানুষের ভোটে আমি বিজয়ের বিষয়ে আমি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। 

দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের এক প্রশ্নের জবাবে আবেদ বলেন, ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট আমাকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে সহ-সম্পাদক পদ দিয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ ও দলকে সংগঠিত করতে নির্দেশ দেন। আমার এলাকা আমাদের প্রবীণ নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রয়াণের পর নেতৃত্বশুণ্য হয়ে পড়ে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই আমি কাজ করে আসছি। জনগণের পাশে আছি।          

মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বাংলাদেশে একটি মাত্র দল বিএনপি, যে দল তারুণ্যের শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করে। তরুণ শক্তি প্রতিবারই দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখিয়েছে। সবশেষ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে জাগরণ সৃষ্টি করে তরুণরা। বিএনপি বিশ্বাস করে তরুণরাই আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করবে। তাই তারুণ্যের শক্তি হিসেবে বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিয়ে আমার এলাকার জনগণের সেবা করার সুযোগ দেবে বলে আমার বিশ্বাস।

এসব সাবেক ছাত্রদল নেতাদের বাইরে সংগঠনের বর্তমান সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ময়মনসিংহ-৫, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির নোয়াখালী-৫ আসন থেকে মনোনয়ন চান। 

মনোনয়ন প্রত্যাশী নাসির বলেন, দীর্ঘ সময় আমরা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আমাদের দল যেভাবে দায়িত্ব দিয়েছে সেভাবে পালন করেছি। সে বিবেচনায় আগামীতে দেশ গঠনে আমরাও অংশীদার হতে চাই। সেজন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছি। দল যদি আমাকে বিবেচনা করে তাহলে নির্বাচন করব। 

মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনায় থাকা এসব নেতাদের বাইরে সংগঠনটির ১৯৮৭-৯০ মেয়াদে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বর্তমানে তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এবারে নির্বাচনে তিনি মুন্সীগঞ্জ-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। 

ড. আসাদুজ্জামান রিপন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নির্বাচনে প্রস্তুতি হিসেবে গতানুগতিক কর্মসূচি থেকে বের হয়ে আমরা মানুষের চাহিদা জানার চেষ্টা করছি। আমরা দেখেছি মানুষ চায় আশ্বাস নয়, বাস্তবে জনপ্রতিনিধিরা তাদের জন্য কী করতে পারবে সেটা। সেই লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে এলাকার সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি। মুন্সীগঞ্জের মানুষ বালু উত্তোলন হোক তা পছন্দ করে না। আমরা এলাকাবাসীকে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তা বন্ধ করেছি। মুন্সীগঞ্জে মাদকের উৎপাত অনেক বেশি, সেটি বন্ধে আমরা সামাজিক আন্দোলন করেছি, তাতে সফল হয়েছি। এভাবে এলাকায় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

মনোনয়ন পাওয়া সম্পর্কে রিপন বলেন, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার একমাত্র হকদার আমি। কারণ বিএনপির সবচেয়ে দুর্যোগকালীন সময়ে দলের হয়ে কাজ করেছি। কখনো দল ছেড়ে যাইনি। দল আমাকে যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে, সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি।

তরুণ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির নতুন নেতৃত্ব তুলে আনতে হলে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী হতে যোগ্যতার প্রয়োজন। তারপর বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের অবদান ছিল কি না, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাদের কতটা অবদান ছিল, দলের পেছনে কতটা সময় দিয়েছে-এ বিষয়গুলো বিবেচনায় যারা ফিট হবেন, তাদের প্রার্থী করা হবে।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে অবদান আছে, এলাকায় মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, আমি তাকে এমপি বানাব না, সেটা হতে পারে না। রাজনীতিতে যোগ্যতা, মেধা, গ্রহণযোগ্যতা এগিয়ে নিয়ে আসবে। দেশ গড়তে হলে মেধাবী রাজনীতিবিদ লাগবে।


সর্বশেষ সংবাদ