সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ  © টিডিসি

বাগেরহাটের রামপালে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফা সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। সংঘর্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় সন্নাসী বাজারের অন্তত ২০টি দোকান ও আশপাশের কয়েকটি বসতবাড়িতে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়ন বিএনপির দুই সভাপতি প্রার্থী আব্দুল আলিম হাওলাদার ও সাজারুল ইসলাম সাজুর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২ আগস্ট) রাতে আব্দুল আলিমের অনুসারীরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামীম হাসান পলকসহ ১১ নেতাকর্মীকে মারধর করে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রোববার বিকেলে ঘটনার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে সাজু ও পলকের সমর্থকরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। তবে মানববন্ধন শুরু হতেই আব্দুল আলিমের লোকজন অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় সভাপতি প্রার্থী সাজু গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি মুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্নাসী বাজারে বিকেল ৫টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতেই সংঘর্ষ হয়। লাঠি-সোটা, ইট-পাটকেল নিয়ে উভয়পক্ষ একে অপরের উপর হামলা চালায়। দোকানপাট ও বাড়িঘরে চলে ভাঙচুর। বাজারের পাশের ভবনের ছাদ থেকেও ইট নিক্ষেপ করা হয়।

রামপাল থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। উভয় পক্ষই ইট-পাটকেল ছুড়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষে আহত সভাপতি প্রার্থী সাজারুল ইসলাম সাজু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন অতর্কিতে হামলা চালায়।

সাবেক যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ভোটে ভরাডুবির আশঙ্কায় আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে।

অন্যদিকে এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি প্রার্থী আব্দুল আলিম হাওলাদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ঘটনায় এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন নতুন করে কোনো সহিংসতার আশঙ্কায়।

 


সর্বশেষ সংবাদ