আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা সারজিস-হাসনাতের

হাসনাত আবদুল্লাহও সারজিস আলম
হাসনাত আবদুল্লাহও সারজিস আলম  © টিডিসি সম্পাদিত

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ শুক্রবার (৯ মে) নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে দেওয়া ভিন্ন ভিন্ন পোস্টে তারা এমন ঘোষণা দেন। 

পোস্টে হাসনাত লেখেন,  বাদ জুমা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এতে অংশ নেবে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দলসমূহ, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার পরিবারগুলো এবং সর্বশেষ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবার। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলছে এবং চলবে।

আরো পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক

ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, আছি যমুনার সামনে। বাদ জুমা যমুনা সংলগ্ন ফোয়ারার পাদদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এতে অংশ নেবে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দলসমূহ, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার পরিবারগুলো এবং সর্বশেষ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবার। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলছে এবং চলবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এ কর্মসূচি ঘিরে যমুনার সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।

রাত ১০টায় যমুনার সামনে উপস্থিত হন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।  এ সময় তারা ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘একটা একটা ছাত্রলীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’সহ নানা স্লোগানে রাজপথ মুখর করে তোলে।

রাত পৌনে ১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষ নেতারা। নাহিদ ইসলাম ছাড়াও এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, আপ বাংলাদেশের আলী হাসান জুনায়েদসহ অনেকে উপস্থিত হয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ