দ্রুতই গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আশা ট্রাম্পের
- টিডিসি ওর্য়াল্ড
- প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ AM , আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ AM
গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে খুব দ্রুতই আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখনো মানবিক সংকট চরমে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় দুই বছর মেয়াদি একটি অন্তবর্তীকালীন শাসনব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিতে আলোচনায় বসার মাঝেই ট্রাম্প এই আশাব্যক্ত করলেন।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, 'খুব তাড়াতাড়িই এটি হতে চলেছে। গাজার পরিস্থিতিও ভালভাবে এগোচ্ছে।' তিনি আরও বলেন, 'অত্যন্ত শক্তিশালী কয়েকটি দেশ এ উদ্যোগে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।'
হামাস এখনও নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্মতি দেয়নি। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী এই গোষ্ঠী হামাসকে নিয়ে কোনও সমস্যা হলে তারা হস্তক্ষেপ করতে প্রস্তুত থাকবে বলে জানাগেছে। এই আন্তর্জাতিক বাহিনীর দায়িত্ব থাকবে বেসামরিক জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া, সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও ফিলিস্তিনের পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মঙ্গলবার বলেছেন, 'গাজায় যে কোনও শান্তিরক্ষী বাহিনীর (স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স) পূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈধতা থাকতে হবে, যাতে তারা ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করতে পারে।'
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র খসড়া প্রস্তাবটি এই সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য দেশ ও কয়েকটি আঞ্চলিক অংশীদারের কাছে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।
রয়টার্সের তথ্যমতে, মিশর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্ক প্রস্তাবটি দেখেছে। এতে ২০ হাজার সদস্যের একটি শান্তিরক্ষী বাহিনীকে “প্রয়োজনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার” অনুমতি দেওয়া হবে অর্থাৎ, তারা প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করতে পারবে।
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার একটি মূল শর্ত হল হামাসের নিরস্ত্রীকরণ যা এখনও অনিশ্চিত। প্রস্তাবিত বাহিনীর অন্যতম দায়িত্ব হবে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা ও তার 'আক্রমণাত্মক অবকাঠামো' পুনর্গঠনে বাধা প্রদান করা।
সংবাদসূত্র: আল জাজিরা