ভারতের

সেই এসি বাসে আগুনের নেপথ্যে যা জানা গেল

দুর্ঘটনাকবলিত বাস
দুর্ঘটনাকবলিত বাস  © সংগৃহীত

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলার চিন্না টেকুর গ্রামের দুর্ঘটনায় একটি যাত্রীবাহী এসি বাসে আগুন লেগে ১৯ যাত্রী মারা যায়। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ভোররাতে ঘটে যাওয়া এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ভাবে এসি বাসে আগুনের কারণ না জানা গেলেও তদন্তে নতুন তথ্য উঠেছে এসেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের ব্যাটারির বিস্ফোরণে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে; এতে প্রাণ যায় অন্তত ১৯ যাত্রীর।

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ফোনের ব্যাটারি বিস্ফোরণের পর আগুন বাসজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে বাসের মেঝের অ্যালুমিনিয়াম পাত পর্যন্ত গলে যায়।

আরও পড়ুন: যাত্রীবাহী এসি বাসে ভয়াবহ আগুন, অনেক যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

তদন্তে জানা গেছে, হায়দ্রাবাদের এক ব্যবসায়ী ৪৬ লাখ রুপি মূল্যের ওই ২৩৪টি স্মার্টফোন পাঠিয়েছিলেন একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে, যা বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর কথা ছিল। সেগুলো পার্সেল আকারে বহন করছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, আগুন ধরার পরপরই ফোনের ব্যাটারিগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে।

অন্যদিকে, অন্ধ্র প্রদেশ দমকল বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটারমণ বলেন, “প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত বাসের সামনের অংশে জ্বালানি লিক থেকে হয়েছিল বলে ধারণা। একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে গিয়েছিল। জ্বালানি ছিটকে পড়ে, তাপ বা কোনো স্পার্ক থেকে আগুন লাগে তারপর তা দ্রুত পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।”

তিনি বলেন, 'আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে বাসের মেঝের অ্যালুমিনিয়াম পাত গলে নিচে মানুষের হাড় আর ছাই পড়তে দেখা গেছে।'

ভেঙ্কটারমণ আরও জানান, বাসের কাঠামোতেও মারাত্মক ত্রুটি ছিল। “ওজন কমাতে লোহার বদলে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছিল,” বলেন তিনি।

শুক্রবারের ওই দুর্ঘটনায় পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া কিছু মৃতদেহ শনাক্ত করা কঠিন হবে বলে আগেই জানিয়েছেন স্থানীয় এমপি বাইরেড্ডি শবরি।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর রাজস্থানে একটি চলন্ত বাসে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় ২০ জন জীবন্ত পুড়ে মরেছিল। শর্ট সার্কিটের কারণে জয়সলমির থেকে যোধপুরগামী এসি বাসে ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

 

 

 


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!