ধ্বংসস্তূপের শহরে ফিরছে গাজাবাসী
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৬ AM
অবশেষে গাজা উপত্যকায় সংঘাত থামাতে সমঝোতায় পৌঁছেছে হামাস ও ইসরায়েল। এ চুক্তির কার্যকর হলে শুধু গোলাগুলিই বন্ধ হবে না, বরং উভয় পক্ষই পরস্পরের আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেবে। চুক্তির শর্ত মেনে এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভিটেমাটিছাড়া হয়ে পড়া হাজার-হাজার ফিলিস্তিনি জনতা নিজেদের ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। টানা দুই বছর ধরে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গভীর শোকে নিমজ্জিত গাজাবাসী, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পর নিজেদের বাড়িতে ফেরার সুযোগ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি খান ইউনিস থেকে জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আজ হাজার-হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি জনতা গাজা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।
শুরুতে কিছুটা ভীতি কাজ করলেও, প্রচুর সংখ্যক ফিলিস্তিনি গাজা সিটির পথে পা বাড়ান। মধ্য গাজার অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকাগুলো থেকে তারা দলবদ্ধভাবে হেঁটে গাজা সিটির দিকে এগোচ্ছেন। রাস্তায় হাঁটার সময় জনগণের মধ্যে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। তারা ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিচ্ছেন, উল্লাস করছেন এবং অনেকে শিস বাজিয়ে নিজেদের আনন্দ প্রকাশ করছেন।
বাস্তুচ্যুত গাজা সিটির বাসিন্দা ইব্রাহিম আল-হেলু (৪০) নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আবেগাপ্লুত হলেও সতর্ক ছিলাম। পরিস্থিতি বিপজ্জনক ছিল, গুলিবর্ষণ হচ্ছিল, সে কারণে আমি একটু অপেক্ষা করে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তায় কোনো বাধা নেই, এখন আমরা গাজায় আমাদের বাড়ি ফিরে সেখানকার পরিস্থিতি দেখার উদ্দেশ্যে একসঙ্গে রওনা দিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় টানা ভয়াবহ নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ সময়ের মধ্যে দুই ধাপে মাত্র দুই মাসের কিছুটা বেশি সময় সেখানে যুদ্ধবিরতি ছিল। বাকি সময়ে একের পর এক হামলা চালিয়ে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আহত প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার।