উত্তরপ্রদেশে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে, অন্তঃসত্ত্বা নবম শ্রেণির ছাত্রী

প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি  © ফাইল ছবি

গ্রামের স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী, মা বাসায় থাকতেন না, সুযোগ পেলেই বাসায় ঢুকতো ধর্ষকরা। এমন অভিযোগ করেন ধর্ষিতা স্কুল শিক্ষার্থীর মা। তিনি জানান আমার মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণ করা হয়। আমি বাসায় না থাকায় এসব কিছু জানতাম না। আমার মেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, এরপর জানতে পারি আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কারণে সেই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনাটি নিশ্চিত করেন সিদ্দিপেটের এসিপি জি মধু।

ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশ তেলঙ্গানার সিদ্দিপেট জেলার। নির্যাতিতা কিশোরী গ্রামের স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশকে কিশোরী জানিয়েছে, তার বাড়িতে মা না থাকার সুযোগ নিয়ে প্রায়ই ঢুকতেন তিন যুবক। তাকে যৌন হেনস্তা করতেন তাঁরা। ভয়ে এ কথা সে কাউকে বলতে পারেনি। ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সেই তথ্য উঠে এসেছে।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের পর্যটক না আসায় কলকাতায় ব্যবসায়িক ক্ষতি

সিদ্দিপেটের এসিপি জি মধু জানিয়েছেন, ডুবাক্কা মণ্ডলের একটি গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী। সম্প্রতি সে অসুস্থ বোধ করায় স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে তার মা তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। শারীরিক পরীক্ষা করার পর জানা যায়, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার মা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে। 

পুলিশ সূত্র জানায় , অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন কিশোরীর পরিবারের প্রতিবেশী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ২ জন যুবক । চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাস থেকে ওই তিন যুবক বার বার স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। তার মা বাড়িতে যখন থাকতেন না, সেই সময়ে ঢুকতেন তাঁরা এবং নানা ভাবে যৌন হয়রানী করতেন কিশোরীকে। সেই সময়েই ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত যুবকদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাদ করা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ