এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে অটোমেশনের চিন্তা

এনটিআরসিএ
এনটিআরসিএ  © টিডিসি ফটো

বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে ভোগান্তি নিরসনে সর্বোচ্চ অটোমেশন পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়া সব শিক্ষক অটোমেশন পদ্ধতিতে এমপিওভুক্ত করার কথা ভাবছি। এতে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ঝামেলা নিরসন হবে। এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায়, সেটি নিয়ে কাজ করবো।

সস্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এমপিওভুক্তি হতে স্কুল থেকে শুরু করে শিক্ষা অধিদপ্তর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ফাইল নিষ্পত্তিতে যেন বিলম্ব না হয়, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফাইল সম্পন্ন করেন, সে বিষয়ে তাদের বাধ্য করা হবে। এটি করা গেলে বিভিন্ন সমস্যাও চিহ্নিত করা যাবে। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা যদি কালক্ষেপণ করেন, তাকে জবাবদিহি করতে হবে। মোটকথা একজন শিক্ষক এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে পদে পদে যেন ভোগান্তির শিকার না হন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস নেবেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক

মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এনটিআরসিএর পুরো প্রক্রিয়াটির সমস্যা লিখিত আকারে দেন। আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসবো। একবারেই কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই যেন সব সমস্যা সমাধান হয়ে যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোথাও কাউকে দুর্নীতির শিকার হতে হবে না।

বেসরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার পর তাদের এমপিও পেতে ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হয়। প্রান্তিক পর্যায়ের একজন শিক্ষককে তার স্কুল থেকে শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত ৫ থেকে ৬টি ধাপে এমপিওর আবেদন পৌঁছাতে হয়। এ জন্য শিক্ষকদের ন্যূনতম ১০ হাজার থেকে ক্ষেত্রবিশেষে লাখ টাকাও দিতে হয়। শুধু টাকাই নয়, সময়ও লেগে যায় তিন মাস থেকে ১৩ মাস পর্যন্ত। আরও বেশি সময় লাগে ফাইল চালাচালিতে। এ কাগজ নাই, অমুক কাগজের ফটোকপি অস্পষ্ট। এভাবে সত্যায়িত করলে হবে না- এমন নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হতে হয় একজন এমপিও প্রত্যাশী শিক্ষককে।

শিক্ষকদের অভিযোগ, ২০১৫ সালে সারা দেশের এমপিও ৯টি আঞ্চলিক অফিসে বিকেন্দ্রীকরণ করার পর শিক্ষক হয়রানি, ঘুষ লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির নবম ধাপে ভর্তি ৮ মার্চ

শিক্ষকরা জানান, এক জায়গার (শিক্ষা ভবন) দুর্নীতি এখন ৯ জায়গায় পাঠানো হয়েছে। মাউশির দুর্নীতি এখন স্কুল, উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক অফিস, মাউশি পর্যন্ত পৌঁছেছে। এমপিও পেতে এখন পাঁচ ঘাটে একই কাগজ বারবার যাচাই-বাছাইয়ের নামে শিক্ষকদের হয়রানির শিকার হতে হয়। টাকা ব্যয় না করলে তাদের সমস্যার সমাধান হয় না। বাধ্য হয়েই এমপিও প্রাপ্তির আশায় টাকা-পয়সা খরচ করেই শিক্ষকদের অধিদপ্তরে ফাইল পৌঁছাতে হয়।


সর্বশেষ সংবাদ