২০৩০ সালের মধ্যে বেসরকারি খাতে পেনশন চালুর কথা ভাবছে সরকার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:০২ PM , আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:০২ PM
ছয় বছরের আলোচনার পর ‘সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা’ চালু হওয়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট আভাস মিলেছে এবার। পেনশন তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কর্তৃপক্ষও গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি শিগগির আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীরাও পেনশনের আওতায় আসবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুরুর দিকে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থাটি চালু হবে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে। সরকার আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সারাদেশে এ পেনশনব্যবস্থা চালুর কথা ভাবছে।
এ সম্পর্কে সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি-বেসরকারিসহ সব ধরনের অনানুষ্ঠানিক খাতের ষাটোর্ধ্ব জনগণের জন্য একটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থার কৌশলপত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরেন। এটি চালু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একমত হয়েছেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রণয়নের পাশাপাশি নতুন কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী দেশের আপামর জনগণের জন্য একটি সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার করেছিলেন। সে আলোকে কৌশলপত্রটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি প্রণয়নে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
সূত্র মতে, বেসরকারি খাতের চাকরিতে নিয়োজিত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী নাগরিকদের কথা মাথায় রেখেই আপাতত সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করা হবে। এমন চিন্তা করা হচ্ছে যে একটি প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য একটি অংশ ব্যয় করবে, কর্মীরা নিজেরা দেবেন একটি অংশ। এই টাকা সরকার কোথাও খাটিয়ে যে আয় হবে, তা থেকে একটা অংশ দুই পক্ষের জমা করা অর্থের সঙ্গে যোগ করে পেনশন দেওয়া হবে। এটি বাস্তবায়নের শুরুর দিকে কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে বিশ্বব্যাংক থেকে।
অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ছয় কোটির বেশি কর্মজীবীর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কাজ করেন বেসরকারি খাতে। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতসহ দেশের সব জনগণের জন্য একটি সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে চালু করতে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। পেনশনভোগীদের স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে এবং ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা রাখা হতে পারে। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত সাড়ে ১১ লাখ সরকারি চাকরিজীবী পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন। এতে বছরে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়।