প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে উধাও হচ্ছে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা

নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের
নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের  © ফাইল ফটো

প্রাথমিকের এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। এই টাকার প্রতি এবার নজর পড়েছে প্রতারক চক্রের। এতে যোগসাজস রয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদেরও। ইতোমধ্যে অসংখ্য শিক্ষার্থীরা মায়ের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে লাখ লাখ টাকা হাওয়া হয়ে গেছে। এই প্রতারণা থেকে বাঁচতে পাসওয়ার্ড কাউকে না জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, বিভিন্ন জেলায় সক্রিয় উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতকারী চক্রে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের কর্মচারী ও মোবাইলে ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট। ছাত্রীদের পাশাপাশি উপবৃত্তির আওতায় এসেছে সব ছাত্রও। ডাক বিভাগের সেবা নগদের মাধ্যমে তাদের মায়েদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে টাকা। এতে নজর পড়েছে প্রতারকদের।

জানা গেছে, নানা কৌশলে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীর মায়েদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে শিক্ষা কর্মকর্তা সেজে ফোন করে পাসওয়ার্ড জেনে নেন তারা। এরপর টাকা আত্মসাৎ করছে চক্রগুলো। ইতিমধ্যে রংপুর ও নরসিংদী থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ জানিয়েছে, এ প্রক্রিয়ায় জড়িত এজেন্টরাও। বিদ্যালয়ের কিছু দপ্তরী, নৈশ প্রহরীকেও তাদের দলে ভিড়িয়েছে প্রতারকরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) উপকমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন অঞ্চল্ভেদে প্রতারণা চক্র আছে। রংপুরের প্রতারণা চক্র তথ্য সংগ্রহ করে প্রতারণা করছে। তারা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে সার্ভিস প্রোভাইডারদের দায় রয়ে যায়।’

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে স্বস্তি, ক্লাসে ফিরতে চান এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

এদিকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে নিরাপত্তা ত্রুটি কাটিয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নগদ। প্রতিষ্ঠানটির চিফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার সোলায়মান সুখন বলেন, ‘এর ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে যারা, তাদেরকে ধরার চেষ্টা করছি আমরা। ৯৯.৯৯ শতাংশ সফল প্রজেক্টের ক্ষেত্রে সামান্য একটুর জন্য এটি ব্যর্থ বলতে রাজি নই। আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে আমরা যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।’


সর্বশেষ সংবাদ