আইন উপদেষ্টার কাছে বিএনপির চিঠি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল লোগো
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল লোগো  © টিডিসি সম্পাদিত

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি আইন উপদেষ্টার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে অনুচ্ছেদ ২০ সংশোধন না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক দল বা জোটের প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত পরিবর্তন গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করবে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে তথ্য জানা যায়। 

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের বিষয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের মতামত আহ্বানের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি যথাসময়ে মতামত প্রদান করেছে। গনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২- এর বিভিন্ন অনুচ্ছেদের সংশোধনীর বিষয়ে আমাদের দল একমত প্রকাশ করলেও গনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ অনুচ্ছেদে রাজনৈতিক দল/জোটের অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে কোন সংশোধনী আনয়ন না করার জন্য পূর্বেই আমাদের মতামত জানিয়েছি।

বিএনপির পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এ প্রসঙ্গে ইতোপূর্বে আপনার সাথে আমাদের আলোচনার বিষয়টি অনুগ্রহ করে স্মরণ করা যেতে পারে। আপনি আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ২০ নং অনুচ্ছেদে কোনো রূপ সংশোধনী আনা হবে না, অর্থাৎ পূর্বের বিধান বহাল থাকবে। কিন্তু ২৪ অক্টোবর বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে "জোট করলেও ভোট করতে হবে দলীয় প্রতীকে" এ জাতীয় শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত ও প্রকাশিত হলে আমরা হতবাক হয়েছি। বিশেষ করে, সরকারের সম্মানিত আইন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করার পরও ২০ অনুচ্ছেদের এই সংশোধনী খুবই দুঃখজনক। উল্লেখযোগ্য যে, আপনি আশ্বস্ত করার কারণে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা পত্র-পত্রিকায় কিংবা গণমাধ্যমের সাথে আলোচনা থেকে বিরত থেকেছিলাম।

চিঠিতে বিএনপি জানায়, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে পুনরায় আপনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে জানাতে চাই যে, ২০ অনুচ্ছেদের এই সংশোধনী গ্রহণযোগ্য নয় এবং বিএনপি এই সংশোধনীর সাথে একমত নয়। কারণ, ইতোপূর্বে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের বিবেচনায় নির্বাচনী জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল এবং নিজেদের দলের বা জোটের অন্যকোন দলের নির্বাচনি প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, যা তাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার।

বিএনপি আরও দাবি করে, উপর্যুক্ত সংশোধনীর ফলে রাজনৈতিক দলসমূহের এ অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে বলে বিএনপি মনে করে। প্রধান স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে আলোচনা না করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জোট গঠনের মূল উদ্দেশ্য নির্বাচনে জয়ী হওয়া। সে লক্ষ্যে জোটবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের অধিকার রয়েছে।

চিঠিতে দলটি আইন উপদেষ্টার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ২০ এর পূর্বের বিধান বহাল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ