সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগের প্রমাণ পেল ইউজিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:১৫ PM , আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:১৫ PM
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অনুমোদিত পদের বাইরে অতিরিক্ত ১০৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তদন্ত কমিটির এক সদস্য সোমবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তদন্ত প্রতিবেদনে আমরা অনুমোদিত পদের বাইরে অতিরিক্ত ১০৯ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১১২টি পদের। এর মধ্যে সব পদে এখনও নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে ১০৯টি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির নীতিমালা ও নিয়োগের নিয়ম মানা হয়নি।’
আরও পড়ুনঃ অবশেষে ভাঙা হচ্ছে ইভ্যালির লকার
তদন্ত প্রতিবেদনে কী কী সুপারিশ করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অস্থায়ীভাবে আর নিয়োগ না দেয়া, যেসব পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের মেয়াদ না বাড়িয়ে অনুমোদিত পদে উন্মুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছি। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পদে (রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালকসহ) উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করেছি।’
ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। প্রতিবেদনে আমরা নিয়োগে যেসব নিয়মের ব্যত্যয় পেয়েছি, তা উল্লেখ করেছি। এর বাইরে আমার বলার কিছু নেই।’
ইউজিসি থেকে জানা যায়, তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে ইউজিসি। এ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ইউজিসির এক সদস্য এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ইউজিসি সচিবকে রাখার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের অস্তিত্ব না থাকলেও আটজনকে ডিন নিয়োগ দেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া উপাচার্যের আত্মীয় ও নানাজনের সুপারিশে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশের চতুর্থ এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা ২০১৮ সালে। সে বছরের ১৪ নভেম্বর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়। এখনও শুরু হয়নি নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ। শুরু হয়নি নিজস্ব শিক্ষা কার্যক্রমও।
এ অবস্থায় উপাচার্যের বিশেষ ক্ষমতাবলে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় ১৭২ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এর আগে ১ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটিও নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত করতে সিলেট যান।
অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগের কথা স্বীকার করে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী এর আগে বলেছিলেন, ‘জরুরি প্রয়োজন মেটাতে অ্যাডহক ভিত্তিতে শখানেক লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বেশির ভাগই কর্মচারী পদে নিয়োগ পেয়েছেন। যথাযথ নিয়ম মেনেই তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’