স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করতে জড়ো হচ্ছেন মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৬ AM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ১১:৫০ AM

পাঁচ দফা দাবিতে জড়ো হচ্ছেন সারা দেশের মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে বুধবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন তারা। এদিন সারা বাংলাদেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। তবে মানবিক বিবেচনায় জরুরি সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানা গেছে।
পাঁচ দফা দাবি মানলে স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর হবে। তেমনি রোগী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবে না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিবছর ৪-৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪. সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।