সিলেট মেডিকেলের সাবেক ভিসি-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিল দুদক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬ PM , আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:১৩ PM
জনবল নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও প্রথম উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীসহ ৫৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (২৭ মার্চ) এই অনুমোদন দিয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালককে পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর এজহারের কপি, তদন্ত ও তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগের চিঠি পাঠাতেও বলেছে কমিশন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটি দেশের চতুর্থ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরুর পর এর প্রথম ভিসি হিসেবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পান শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ) নঈমুল হক চৌধুরী।
শুরুতেই জনবল কাঠামোর বাইরে দ্বিগুণ জনবল নিয়োগের অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। অস্থায়ীভাবে দেওয়া এসব নিয়োগে উপাচার্যের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের স্বজনেরাও ছিলেন।
আইন অনুযায়ী, ইউজিসির অনুমোদিত পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের অনুমতির প্রয়োজন থাকলেও সেই নিয়ম না মেনে ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অ্যাডহক ভিত্তিতে অতিরিক্ত নিয়োগ দেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী (ইউজিসি) অনুমোদিত পদের বাইরে অতিরিক্ত ১০৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদে বেআইনিভাবে আটজনকে ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়মের সত্যতাও পায় ইউজিসি।
এর জের ধরে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তদন্তে নামে ইউজিসি ও দুর্নীতি দমন কমিশন। এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।