সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানসহ তিন সহযোগী ১০ দিনের রিমান্ডে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১১ PM
দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সহযোগী ও আরামিট পিএসির তিন সহকারী মহাব্যবস্থাপকের (এজিএম) দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া দুদকের আরও দুই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এসব আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন– ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মো. আব্দুল আজিজ (৩৯), ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৫৪), আরামিট পিএলসি এজিএম উৎপল পাল (৫১)।দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সাইফুজ্জামান আসামিদের ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করেন। সে জন্য সাইফুজ্জামানসহ তাদের বিরুদ্ধে দুদকের করা দুই মামলায় প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড ও অন্য আরও দুটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তারা দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করি। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান।
রিমান্ড আবেদন বলা হয়েছে, মো. আব্দুল আজিজ, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উৎপল পালসহ আট জন ইউসিবি পিএলসির মহাখালী শাখার গ্রাহক সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড ও ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিনকে চাপ ও ভয় ভীতি দেখিয়ে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ঋণ অনুমোদন করিয়ে ঘুস গ্রহণ করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিংসহ অন্যান্য ধারায় অপরাধ করেছেন তারা। সে জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আরামিট গ্রুপের মালিক সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এ আসামিরা তার কর্মচারী। তারা ভুয়া ঋণ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হতে ঘুস গ্রহণের করে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নামে বিদেশে সম্পত্তি ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো.সজীব আহমেদ বাদী হয়ে আট জনের বিরুদ্ধ মামলা করেন। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসির ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান বেস্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের (বর্তমানে আইকনক্স সার্ভিসেস লিমিটেড) চেয়ারম্যান আমিন আহম্মেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উম্মে কুলসুমের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাপ সৃষ্টি করে ৬০ কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এ লেনদেনে আরামিট গ্রুপের কর্মচারী ভুয়া প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং মালিক মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ মিছাবাহল আলম, লুসেন্ট ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ জাহিদ ও রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের মো. ফরিদ উদ্দিনদের সহযোগিতা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন