সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা ৪ দিনের রিমান্ডে
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৮:০০ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:৩৪ PM
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সোমবার (২৩ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে নুরুল হুদাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রবিবার (২২ জুন) বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) অনিয়ম, কারচুপি, সহিংসতা ও নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে একতরফা ও প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করা হয়।
বিশেষভাবে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কে. এম. নুরুল হুদা এবং নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা ভোটারদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের আগেই ব্যালট বাক্স পূরণ করে ফলাফল প্রকাশ করেন। নির্বাচনের দিন সকালেও কিছু কেন্দ্রে সহিংসতা, বাধা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বিরোধী দলের প্রার্থীদের প্রচারণা ও কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ হলেও, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সেই অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা হয়। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা ও তার সহকর্মীরা কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সরকারের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করেন।
বিএনপির অভিযোগ, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনের সময় নুরুল হুদা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ‘কোটি কোটি টাকা’ ঘুষ গ্রহণ করেন এবং ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির জন্য প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, সাবেক সিইসি নুরুল হুদার ‘সহায়তায়’ তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল একটি ‘প্রহসনের নির্বাচন’ আয়োজন করে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।