ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হলেও সেনাবাহিনীতে যেতে চান তাহমিদ

কে এ এইচ এম তাহমিদ
কে এ এইচ এম তাহমিদ  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী কে এ এইচ এম তাহমিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় (বিজ্ঞান বিভাগ) ১ম স্থান অধিকার করেন। ভর্তি পরীক্ষায় নিজের সাফল্যের গল্প নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের। তার কথাগুলো শুনেছেন— আমান উল্যাহ আলভী। 

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আপনার অনুপ্রেরণা কি ছিল?
সপ্তম শ্রেণি থেকেই আমি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছি যা দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। সেই থেকে আমার বাবা মা, আত্মীয়-স্বজন এবং আশেপাশের সকলে আমার প্রতি একটি ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল যে আমি যেখানেই যাই ভালো কিছু করব।

আমার বাবা-মা ও তাদের কথাকে আমি সব সময় সত্য প্রমাণিত করার চেষ্টা করতাম। তাছাড়া আমিও চাইতাম সবসময় ভালো কিছু একটা করে তাদের মুখের গর্বের হাসি যেন সবসময় লেগেই থাকে। তাদেরকে খুশি করাটাই ছিল আমার প্রধান অনুপ্রেরণা।

প্রস্তুতিকালীন সময়ে কীভাবে পড়ালেখা করতেন?
অনেকের যে রকম ধরাবাঁধা রুটিন থাকে আমার সেরকম কোনো রুটিন ছিল না। দীর্ঘ সময় নিয়ে পড়েছি এমনটাও না। আমি অল্প পড়তাম, তবে সেই সময়টুকু গুরুত্ব দিয়ে পড়তাম। বিশেষ করে মাগরিব এবং ফজরের পর পড়ার চেষ্টা করতাম। এছাড়া ডা. নাবিল স্যারের একটা লেকচারে দেখেছিলাম তিনি বলেছিলেন যে নামাজ কিংবা কুরআন তেলওয়াতের পর ব্রেইন ভালো কাজ করে এবং পড়া মনে রাখতে সাহায্য করে।

আমি চেষ্টা করতাম নামাজের পর এবং কুরআন তেলওয়াতের পর পড়াশোনা করার। আমার মনে হয় এই রুলস্টা আমার অনেক কাজে লেগেছে। আর সব সময় আল্লাহর কাছে দুয়া করতাম যে আল্লাহ আমি আমার সময়কে যেন যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে পারি।

প্রস্তুতি সময়ে অনেক সময় হতাশায় কাজ করে পড়া নিয়ে, এই সময়গুলোতে কীভাবে নিজেকে সামলে উঠতেন? 
মাঝে মাঝে পরীক্ষা খারাপ হলে হতাশ লাগত। তখন আম্মু-বাবা মোটিভেশান দিত, যা আমাকে সাহস যুগিয়েছে। এছাড়া আল্লাহর প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস আছে যে তিনি উত্তম পরিকল্পনাকারী। তিনি যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমি সবসময় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতাম। মন খারাপের দিনগুলোতে আরও বেশি করে তাঁর কাছে সাহায্য চাইতাম। এছাড়া কুরআনের বিভিন্ন আয়াতও আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। 

পরীক্ষার হলে কীভাবে কৌশল অবলম্বন করে পরীক্ষা দিয়েছেন?
পরীক্ষার হলে মাথা ঠান্ডা রাখা সবচেয়ে জরুরি। যে প্রশ্নগুলো প্রথমেই পেরেছি সেগুলোর উত্তর করেছি। এছাড়া না পারা প্রশ্নের জন্য চিন্তিত না হয়ে বাকিগুলো ভালোভাবে দেয়ার চেষ্টা করেছি।

কোনো বিষয়ে পড়ার ইচ্ছা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি নিয়ে পড়ার ইচ্ছে এবং বিসিএস দেওয়ার ইচ্ছে ছিল। আর আমার ছোটবেলা থেকেই আর্মি অফিসার হওয়ার ইচ্ছে। যেহেতু আর্মিতেও চান্স পেয়েছি, হয়ত আর্মিতেই যাব।

আরো পড়ুন: জবির ‘সি’ ইউনিটে প্রথম ফাতেমা জিন্নাত মিহা

ঢাবিতে সুযোগ না হলে পরিকল্পনা কী ছিল?
আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় যেমন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটে ৪র্থ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বি ইউনিটে ৪র্থ ও ডি ইউনিটে ১৫ তম। ঢাবিতে না সুযোগ না পেলে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতাম।

পরবর্তীতে যারা পরীক্ষা দিয়ে তাদের জন্য যদি কিছু বলতেন।
আমার জুনিয়রদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তোমাদের সময়কে কাজে লাগাও, অযথা সময় নষ্ট করবে না। নিয়মিত নামাজ পড়বে, কুরআনের অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করবে, ইনশাআল্লাহ তোমরা সফল হবে। আর যাই কিছু হোক না কেনো আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখবে যে তিনিই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence