সাক্ষাৎকারে বুটেক্স উপাচার্য

‘চাকরির বাজারের সব সেক্টরে বুটেক্স গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণা রয়েছে’

উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ
উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)। এটি টেক্সটাইল প্রকৌশল শিক্ষায় দেশের প্রথম ও একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১০ সাল থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা দিক নিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

টিডিসি: দেশে টেক্সটাইল প্রকৌশল শিক্ষার প্রসার কীভাবে ঘটে-এ প্রসঙ্গে কিছু বলবেন?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: ১৯২১ সালে ব্রিটিশ সরকার এ অঞ্চলে কতগুলো উয়েভিং স্কুল এবং ট্রেনিং সেন্টার চালু করে। এরপর থেকে এ অঞ্চলে টেক্সটাইল শিক্ষার প্রসার ঘটে। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তার সরকার এখানে মোট ছয়টি উয়েভিং স্কুল চালু করে। এসবের মধ্যে একটি ছিল ঢাকার নারিন্দায়, যেটার নাম ছিল ঢাকা জেলা উয়েভিং স্কুল। এসব স্কুলকে আস্তে আস্তে আপগ্রেড করে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অ্যাওয়াডিং ইনস্টিটিউটে পরিণত করা হয়। কালক্রমে এটি আজ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) পরিণত হয়েছে।

টিডিসি: বুটেক্সের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু বলবেন?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: ১৯৪৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এক আর্ডিনেন্সের মাধ্যমে ঢাকা জেলা উয়েভিং স্কুলকে ইস্ট পাকিস্তান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট হিসেবে আপগ্রেড করা হয় এবং সেখানে ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম চালু হয়। তখন থেকে ডিপ্লোমা ইন টেক্সাইল টেকনোলজি ডিগ্রী দেওয়া হয়। তখনই সেটা ঢাকার নারিন্দায় ছিল। পরবর্তীতে সেখানে জায়গা সংকুলন না হলে সেটিকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে যাত্রা শুরু। দেশ স্বাধীনের পর এটির নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট। তখনই ডিপ্লোমা ডিগ্রীই চালু ছিল। ১৯৭৮ সালে এসে যখন আমি এখানকার ছাত্র ছিলাম, তখন এখানে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী চালু করার জন্য চার মাসের একটি সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের কারণে ওই বছরই সরকার এখানে বিএসসি কোর্স চালু করে। তখন এটার নাম হয় কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত হয়। এরপর ১৯৮৩ সালে আমি কলেজে প্রভাষক হিসেবে (টেকনিক্যাল অ্যাডুকেশন ক্যাডার) যোগদান করি। সর্বশেষ ২০১০ সালে যখন এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় তখন আমি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করি।

টিডিসি: বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রার ইতিহাস সম্পর্কে কিছু বলবেন?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। পরে এটির কার্যক্রম শুরু হয় ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর থেকে। আর উদ্বোধন করা হয় ২০১১ সালের ১৫ মার্চ। এটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। প্রধানমন্ত্রীকে একটু বুঝানো হয়েছে- এটার যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পরবর্তীতে এক বছরের মধ্যে আইন পাস হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ওই সময় আমি এটির প্রিন্সিপালের দায়িত্বে ছিলাম। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আইন-কানুন প্রাথমিকভাবে আমার হাতের তৈরি। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়, তখন আমি সরে দাঁড়ালাম। এরপর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধরকে। তিনি এখানকার শিক্ষক ছিলেন। উনার মেয়াদ শেষ হলে আমাকেউপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে আমারও মেয়াদ শেষের দিকে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে।

টিডিসি: উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কোন কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয় ৮ বছর পার হয়ে গেছে। গেল ভিসির মেয়াদে এখানে কিছুই হয়নি। বলতে গেলে ক্যাম্পাসে একটি ইটের গাঁথুনিও পড়েনি। একাডেমি কার্যক্রমের উন্নতি হয়নি; বলতে গেলে অবনতি হয়েছে। আমার এ সাড়ে তিন বছরের মধ্যে টোটাল সিলেবাস কারিকুলাম রিভিউ করতে হয়েছে; একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রিকুয়ারমেন্ট হচ্ছে-সেটি কেমন স্ট্রাকচার হবে, কত জনবল থাকবে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত কেমন হবে-এসব কিছুই হয়নি। আমি দায়িত্ব নিয়ে এসব করেছি। এসব কাজ ৪ বছর পর আমি শুরু করেছি।

টিডিসি: বর্তমানে বুটেক্সে কতটি বিভাগ রয়েছে? আগামীতে নতুন বিভাগ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: বর্তমানে পাঁজটি অনুষদের অধীনে ১০টি ডিগ্রী অ্যাওয়াডিং বিভাগ রয়েছে। এসব বিএসসি ইন টেক্সাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী নামে পরিচিত। এছাড়া আরও চারটি বিভাগ রয়েছে যেগুলো নিজে ডিগ্রী দেয় না কিন্তু ১০টি বিভাগের বিভিন্ন বিষয় পড়ায়। এসব বিভাগ হচ্ছে- পদার্থ, রসায়ন, গণিত এবং সমাজবিজ্ঞান। আমরা একটি বিষয় মাথায় রাখছি সেটা হলো- ট্রাডিশনাল এডুকেশন দেওয়ার পরিবর্তে স্পেশালাইজড এডুকেশন দেওয়ার জন্য নতুন নতুন বিভাগ খুলছি। আগামীতে আরও নতুন নতুন বিভাগ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ, একটি কমন মার্কেটে সবাই প্রবেশ করতে পারে। এখন যদি আমি একজন ক্লার্ক চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিই শত শত দরখাস্ত আসবে, কিন্তু টেকনিক্যালের কোনো একটি বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিলে খুব কমসংখ্যক দরখাস্ত আসবে। কারণ, আমাদের টেকনিক্যাল এডুকেশনের দিকে ঝোকটা কম। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় টেক্সাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কমন বিষয়ের ওপর ডিগ্রী চালু রয়েছে। কিন্তু টেক্সাইলে যে নতুন নতুন ক্ষেত্রের উন্মোচন হচ্ছে-এসব বিষয়ে কোনো ডিগ্রী চালু করছে না। 

টিডিসি: টেক্সটাইল প্রকৌশল শিক্ষায় দেশের প্রথম ও একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বুটেক্স। এ ধরনের বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট সম্পর্কে কিছু বলবেন?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: এটি প্রথমে কলেজ ছিল, সেখান থেকে আপগ্রেড করে বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। দেশের টেক্সটাইল প্রকৌশল শিক্ষায় এখনও এটি প্রথম ও একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। দেশে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করার পরিকল্পনা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। বর্তমান সরকার সেটি বাস্তবায়ন করছে। টেক্সটাইল সেক্টরে আমাদের ইঞ্জিনিয়ার দরকার, এজন্য ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে হবে-সেটা শুধু উপলব্ধি করতে পেরেছে বর্তমান সরকার। এজন্য এ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়েছে।

টিডিসি: কোন কোন সেক্টরে বুটেক্সের গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণা রয়েছে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: সব সেক্টরে আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণা রয়েছে। আমাদের নিজস্ব জব মার্কেট তো রয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ ইঞ্জিনিয়ার কিংবা জেনারেল এডুকেশনের গ্র্যাজুয়েটরা যেখানে যেতে পারে, আমাদের গ্র্যাজুয়েটরাও সেখানে যেতে পারে। আমদের গ্র্যাজুয়েটরা বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে যাচ্ছে। নাসায় আমাদের এক ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। কাজেই আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের সুযোগ অনেক বেশি। তাই তাদের বেকার থাকার সুযোগ নেই। 

টিডিসি: চাকরির বাজারে কেমন চাহিদা রয়েছে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: সাধারণ গ্র্যাজুয়েটরা অধিকাংশ বেকার থাকে। অথচ আমাদের শতভাগ গ্র্যাজুয়েট পাস করে বের হয়ে তাৎক্ষণিক চাকরি পেয়ে যায়। আমাদের কোনো গ্র্যাজুয়েট বেকার থাকে না। পাস করে গ্র্যাজুয়েটদের কেউ কেউ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতন পায়। সর্বনিম্ন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকে। কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী স্টেজে বসে বলেছিলেন- আমরা যে জেনারেল ইউনিভার্সিটি করতেছি এসব তো বেকার তৈরির ইউনিভার্সিটি হচ্ছে। তাই আপনারা দ্রুত এক্সপানশনে যান এবং নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলোয় চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন যাতে কর্মসংস্থান হয়। তাহলে নতুন নতুন ইন্ডাস্ট্রি হবে, ওয়ার্কার আসবে। ফলে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান হবে, আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি হবে।

টিডিসি: স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে কত শিক্ষার্থী রয়েছে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে মোট ৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের বিএসসসি, এমএসসি ও এমবিএ ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে।

টিডিসি: এমফিল-পিএইচডি ডিগ্রি চালু রয়েছে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: এখনও চালু করতে পারিনি। যদিও ৮ বছর পর হয়ে গেছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা চালু করার চেষ্ট করব। 

টিডিসি: বুটেক্সে সেশনজট রয়েছে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: আমাদের একাডেমিক প্রোগ্রামও একসময় শাটার্ড অবস্থায় ছিল। তবে গেল বছর পর্যন্ত এটাকে আমরা একদম নিয়মিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দুটি সেমিস্টারও শেষ হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এবছর কিছু আনরেস্টের ঝামেলার কারণে একটু পিছিয়ে গেছি। এখন একটু সেশনজটের মধ্যে রয়েছি। আশা করি, আগামীতে এটা থেকে বেরিয়ে আসব।

টিডিসি: বুটেক্সে ভর্তি হতে ভর্তিচ্ছুদের কী ধরনের প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হতে হয়? প্রতি সেশনে কত শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তাদের উত্তীর্ণ হতে হয়। গেল সেশনে ৫৬০টি আসনের বিপরীতে প্রায় ১৩ হাজারেরও বেশি আবেদন করেছিলেন। এ বছর ৬০০টি আসন রয়েছে। এরই মধ্যে আবেদন শেষ হয়েছে। আগামী মাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

টিডিসি: বুটেক্সে যারা পড়তে আগ্রহী তাদের উদ্দেশে আপনার বার্তা কী থাকবে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: আমি তাদের স্বাগত জানাব। তোমরা স্ট্রং ব্যাকগ্রাউন্ড নলেজ নিয়ে এখানে আস। তারপর তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জায়গা করে নাও। এজন্য ভালো করে পড়ালেখা করতে হবে। আমি বলব- তোমরা একজন ভালো ইঞ্জিনিয়ার হও। তখন ইন্ডাস্ট্রির জন্য অ্যাসেট হবে এবং ইন্টারন্যাশনাল জব মার্কেটের জন্যও অ্যাসেট হবে। তাই দেশের উন্নয়নে তোমরা এখানে আসো, এ চ্যালেঞ্জটুকু নাও। 

টিডিসি: সরকার যে বাজেট বরাদ্দ দেয়, তা কি পর্যাপ্ত? 

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: আমাদের এ বছর ২৮ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ ছিল। এটা আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। বাজেটের একটি বড় অংশ পেনশন ও বেতন-ভাতায় চলে যায়। এরপরও গবেষণার জন্য সরকার কিছু আলাদাভাবে বাজেট দেয়। শুরুর দিকে বাজেট ছিল ৭ কোটির মতো। এখন ধীরে ধীরে বাড়ছে। 

টিডিসি: গবেষণার জন্য কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে? কোনো সীমাবদ্ধতা রয়েছে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: গবেষণার জন্য এ মুহূর্তে আমাদের সিনিয়র শিক্ষক নেই। তারপরও যারা আছেন তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে দেশের বাহিরে বিভিন্ন দেশে আমাদের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উচ্চতর শিক্ষার জন্য রয়েছেন। তারা ওখানে বিশ্বমানের গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।

টিডিসি: বুটেক্সে লাইব্রেরিতে কেমন রিসোর্স রয়েছে? ল্যাবের অবস্থা কেমন?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: আধুনিক জ্ঞানসমৃদ্ধ লাইব্রেরি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের নিজস্ব লাইব্রেরির জন্য ৩৫৪ ধরনের ১ হাজার ৪০২টি বই ও জার্নাল ক্রয় করা হয়েছে। আমাদের আধুনিক মেশিনারিজসমৃদ্ধ বিভিন্ন ল্যাব নির্মিত হয়েছে। ক্যাম্পাসে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারনেট সার্ভার স্থাপন করা হয়েছে।

টিডিসি: ক্যাম্পাসে সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা কেমন অংশগ্রহণ করছে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: আমরা সব সময় তাদের পেট্রোনাইজ করি। আমাদের অনেকগুলো ক্লাব রয়েছে। আমাদের ডিবেটিং ক্লাব এবার ১০টি ন্যাশনাল ডিবেটে অংশ নিয়ে সাতটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন বাঁধন রয়েছে। তবে তাদের জন্য কোনো বৎসরিক বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয় না। 

টিডিসি: অধিভুক্ত কলেজ কতটি রয়েছে?

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: বর্তমানে মোট ছয়টি রয়েছে। শিগগিরই আরও দুটি অনুমোদন পাবে। এছাড়া আগামী সেশনে আরও দুটি অনুমোদন পাবে। তখন মোট দাঁড়াবে ১০টি। এসব কলেজে কোর্স কারিকুলাম আমাদের মতো। 

টিডিসি: আপনাকে ধন্যবাদ।

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহমদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ