‘উপাচার্য মহোদয়কে দুটি শর্ত দিয়ে ইউআইইউতে যোগ দিয়েছিলাম’

অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী ও ইউআইইউ’র লোগো
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী ও ইউআইইউ’র লোগো  © টিডিসি ফটো

অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। দায়িত্ব পালন করছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের (সিইআর) পরিচালক হিসেবে। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে আলোর মশাল হাতে অগ্রগামীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। গুণী এ গবেষকের হাত ধরেই ২০০৭ সালে দেশে প্রতিষ্ঠা পায় বিশেষায়িত এ গবেষণাগার। অধ্যাপক শাহরিয়ার দেশে এবং দেশের বাইরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক গবেষণা এবং উদ্ভাবন নিয়ে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন এবং কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন অনেকগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। সম্প্রতি দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি কাঠামোসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এই বিশেষজ্ঞ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খাঁন মুহাম্মদ মামুন

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে গবেষণা এবং উন্নয়ন নিয়ে আপনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কাজ শুরুর গল্পটা শুনতে চাই।
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: আমি যখন ২০০৪ সালে জার্মানিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে পড়তে গিয়েছিলাম তখন এ বিষয়ে খুব বেশি আলোচনা ছিল না। এর আগে পিডিবিতে চাকরির সুবাদে লক্ষ্য করেছিলাম, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস ছাড়া উত্তোলনযোগ্য অন্য কোনো জ্বালানি নেই বললেই চলে। গ্যাসের মজুদও সীমিত। তখনই মনে হয়েছিল নবায়নযোগ্য জ্বালানিই হতে পারে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

স্মার্ট সোলার ইরিগেশন সিস্টেমভিত্তিক প্রজেক্টের জন্য ‘স্মার্টার ইউরোপ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ গ্রহণ করছেন অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।

জার্মানিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে পড়ার সময় মনে হয়েছে দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার দরকার। পড়া শেষে দেশে এসে পিডিবির চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিই। তখন আমি উপাচার্য মহোদয়কে দুটি শর্ত দিয়ে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যোগ দিয়েছিলাম। তিনি বুয়েটে আমার শিক্ষক ছিলেন।

প্রথম শর্ত—নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা। এভাবে ইউআইইউর মাধ্যমে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর কোর্স শুরু হলো। দ্বিতীয় শর্ত ছিল—নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে কাজ করতে একটি প্রায়োগিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা। একটু একটু করে গবেষণাগারের কাজ শুরু করলাম। এখন দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতে কাজ করা পেশাজীবীদের বড় একটা অংশই আমার শিক্ষার্থী বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী, প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানকে আমরা সৌরবিদ্যুতের ওপর কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

জার্মানিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে পড়ার সময় মনে হয়েছে দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার দরকার। পড়া শেষে দেশে এসে পিডিবির চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিই। তখন আমি উপাচার্য মহোদয়কে দুটি শর্ত দিয়ে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যোগ দিয়েছিলাম। তিনি বুয়েটে আমার শিক্ষক ছিলেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সত্যিকার অর্থে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু? টেকসই জ্বালানি নিশ্চিতে করণীয় কী? 
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: জীবাশ্ম জ্বালানি এক সময় শেষ হয়ে যাবে। এক সময়ে বাংলাদেশের বিদ্যুতের প্রায় ৯০ শতাংশ নিজস্ব গ্যাস হতে উৎপাদিত হত। এখন আমাদের নিজস্ব গ্যাস কমে এসেছে এবং আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য  আমদানিকৃত জ্বালানির উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। নানা বৈশ্বিক কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য মাঝে মাঝে অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায়, যা আমাদের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। যা আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ।

আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণার বাতিঘর ইউআইইউ’র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আমাদের পরিবেশের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। তাই আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পরিষ্কার ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে বড় দিক হলো—ব্যবহার করার পরও এটি কখনই নিঃশেষ হয়ে যায় না।

নবায়নযোগ্য উৎসগুলোর মধ্য থেকে যেগুলো ব্যবহার করে আমরা শক্তি উৎপাদন করতে পারছি তার মধ্যে—বাংলাদেশের জন্য সৌর শক্তি এবং বায়ু বিদ্যুৎ অন্যতম। এর বাইরে আমরা জলবিদ্যুৎ থেকেও বিদ্যুতের একটা অংশ উৎপাদন করতে পারছি। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে আমরা এ খাত থেকে আরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি একবার স্থাপন করলে এতে আর তেমন খরচ হয় না। 

২০১৮ সালে ‘অনির্বাণ আগামী’ পুরস্কার গ্রহণ করছেন অধ্যাপক শাহরিয়ার। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।

আগামীতে বৈশ্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট জ্বালানির ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশই হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। ফলে আমরা চাই বা না চাই আমাদের এদিকে যেতেই হবে। বর্তমানে সৌর বিদ্যুতের দাম কম এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সামনে এটি আরও কমবে। আমাদের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু-বিদ্যুতের সম্ভাবনা আছে। নেট মিটারিংয়ের আওতায় বাংলাদেশে রুফটপ সৌর বিদ্যুতেরও একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এখন সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বাস্তবতায় সৌরশক্তিই নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে ভালো উৎস, এরপর বায়ু বিদ্যুৎ আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জোগান দেবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: জ্বালানিতে আপনার কাজ এবং গবেষণাগুলো সম্পর্কে জানতে চাই। আপনার আইডিয়া বা তত্ত্বাবধানে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত বা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে কি?
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: আমরা এখন পর্যন্ত দুইশের বেশি প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করেছি। আমাদের গবেষণা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম—‘পিয়ার-টু-পিয়ার স্মার্ট ভিলেজ গ্রিড’, ‘স্মার্ট সোলার ইরিগেশন সিস্টেম ডিমান্ড রেসপন্স অ্যানাবলড স্মার্ট গ্রিড’। এছাড়া এ গবেষণা প্রকল্পগুলো একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। বর্তমানে আমাদের, স্মার্ট গ্রিড প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের লোড ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ চুরির বার্তা সেবাদাতার কাছে পাঠাতে পারবে।

আমরা ২শ’র বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি এবং দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী, প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। দেশের বেশ কিছু জাতীয় নীতিমালার খসড়া প্রণয়নে যুক্ত ছিলাম। যার মধ্যে—বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান, মুজিব ক্লাইমেট প্রস্পারিটি প্ল্যান, নেট মিটারিং নির্দেশিকা ও সৌর সেচ পাম্পের গ্রিড ইন্টিগ্রেশন নির্দেশিকা ইত্যাদি।

মোবাইলের মাধ্যমে গ্রাহকের বৈদ্যুতিক সেবার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল থেকে এ প্রকল্পে প্রায় ৪ কোটি টাকার গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমাদের রিসার্চ ল্যাবের অধীনে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এর বাইরে দেশের অন্যতম প্রধান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহের কারিগরি নকশা প্রণয়ণের কাজে আমরা যুক্ত ছিলাম। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ২০০ এর অধিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক প্রকল্প সম্পন্ন করেছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিশেষায়িত গবেষণাগার রয়েছে; এ গবেষণারের বিশেষত্ব কী? আপনাদের অর্জন বিষয়ে জানতে চাই।
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: আমাদের সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৭ সালের দিকে। দেশে এবং দেশের বাইরে নানা সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানজনক ১২টি পুরস্কার রয়েছে। এর মধ্যে— ‘পিআর-টু-পিয়ার স্মার্ট ভিলেজ গ্রিড’ প্রকল্পটি ২০১৬ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। মরক্কোতে জাতিসংঘের ২২তম জলবায়ু সম্মেলনে ‘ইউএন মোমেন্টাম ফর চেঞ্জ’ অ্যাওয়ার্ড এবং একই বছরে প্রকল্পটি ‘ইন্টারসোলার অ্যাওয়ার্ড ২০১৬’ জয় করে জার্মানির মিউনিখ থেকে। যাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে সম্মানজনক অর্জন হিসেবে ধরা হয়। এর বাইরে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহে ‘অদম্য বাংলাদেশ’ ও ‘অনির্বাণ আগামী’ পুরস্কার আসে ‘স্মার্ট সোলার ইরিগেশন সিস্টেম’ ও ‘স্মার্ট গ্রিড’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্প ‍দু’টির জন্য।

জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ ২০১৬-এ পুরস্কার পায় সিআরই’র একটি প্রকল্প। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।

গবেষণা ও উদ্ভাবনী কাজের জন্য আমরা আরও বেশ কিছু পুরস্কার অর্জন করি, যার মধ্যে অন্যতম হলো—‘এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ (মুম্বাই, ভারত); ‘এশিয়ান ফটোভোলটাইক ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ (সাংহাই, চায়না); ‘স্মার্টার ইউরোপ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ (মিউনিখ, জার্মানি), ওয়ার্ল্ড সোসাইটি অফ সাসটেইনেবল এনার্জি টেকনোলোজিস-এর ‘ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ (ইস্তাম্বুল, তুরস্ক), ‘এনার্জি গ্লোব অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ (অস্ট্রিয়া) এবং ২০২০ সালের ‘বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’।

আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে বাংলাদেশে সমন্বিত আইন-নীতিমালা হওয়া দরকার

বর্তমানে ‘ডিমান্ড রেসপন্স অ্যানাবলড স্মার্ট গ্রিড’ নামে চলমান প্রকল্পটির আরও আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এ উদ্ভাবনী প্রকল্পটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের লোড ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ চুরির বার্তা সেবাদাতার কাছে পাঠাতে পারবে। মোবাইলের মাধ্যমে গ্রাহকের বৈদ্যুতিক সেবার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। আমরা প্রযুক্তিভিত্তিক এ প্রকল্প গবেষণার জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকার সরকারি গবেষণা অনুদান পেয়েছি বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল থেকে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইসিডিআরইটি সম্মেলন থেকে প্রাপ্তি কী? 
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: সিইআরের কাজের একটি বড় দিক হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন। দুই বছর পরপর আমরা এটি আয়োজন করে থাকি। এর মাধ্যমে আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির বাস্তব অবস্থা এবং চলমান প্রযুক্তিভিত্তিক নানা গবেষণার বিষয়ে দেশীয় এবং বৈশ্বিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারি।

আরও পড়ুন: পার্বত্য অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণে নবায়নযোগ্য শক্তি পাওয়া সম্ভব

এখানে ইন্ড্রাস্ট্রি, অ্যাকাডেমিয়া, পলিসি মেকার এবং  জ্বালানি খাতের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে নানা ধরনের পলিসি ডায়ালগ হয় এবং সেখান থেকে নানা নীতিমালা গ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়। দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির স্থায়ী কাঠামো এবং টেকসই পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা নিশ্চিতে এটি একটি বৈশ্বিক মিলনমেলা।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: গবেষণায় আগ্রহীদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী হবে? কী করবে, কী করবে না?
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: সাফল্যের জন্য লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে, কখনই হতাশ হওয়া যাবে না, হাল ছাড়া যাবে না, সর্বদাই শেখার মানসিকতা নিয়ে থাকতে হবে। ছোট ছোট ত্যাগ ও নিয়মিত পরিশ্রমই তারুণ্যের সাফল্য বয়ে আনবে। প্রযুক্তি এগিয়ে চলছে, সেজন্য তরুণদের নতুন নতুন জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নানা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ