‘শিক্ষা ক্যাডার বিলুপ্তির চেষ্টা হচ্ছে’

অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী
অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী  © টিডিসি ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের। এছাড়া শিক্ষা ক্যাডার তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার ও প্রয়োজনীয় পদ সৃজনসহ নানান দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছেন তারা।

সবশেষ গত ২ অক্টোবর সারাদেশের সরকারি কলেজে কর্মবিরতি পালন করে দ্রুত সমাধানের দাবি জানান বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। পরে বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে পুনরায় ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর সারাদেশে সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা।

এসব বিষয়গুলো নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের মুখোমুখি হয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি  ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। তার কথাগুলো শুনেছে রিপোর্টার—মো. রাকিবুল হাসান তামিম

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে শুভেচ্ছা। কেমন আছেন?
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সম্প্রতি আপনারা সারাদেশের সব কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তারা কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি পালন করছেন। আপনাদের তো ক্লাস-পরীক্ষা কার্যক্রমে থাকার কথা, অফিসের কাজে থাকার কথা।
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী: আমরা এ ধরনের অনেক কর্মসূচি আগেও করেছি। তবে এবারের প্রসঙ্গটি একটু ভিন্ন। পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতির মত কর্মসূচি দিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছি।

প্রথমত হচ্ছে, একটি রাষ্ট্রে বা আমাদের বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস রয়েছে এবং সিভিল সার্ভিসে ক্যাডার সার্ভিস রয়েছে। আর এই ক্যাডার সার্ভিসের অন্যতম একটি ক্যাডার হচ্ছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার। আমরা দেখেছি, শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টির পর থেকেই নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে পথ চলতে হয়েছে।

তবে সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি আমাদের এই সার্ভিসটিকে ধাপে ধাপে বিলুপ্ত করবার একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে বা বিপন্ন করার জন্য অনেকেই উদ্যোগ নিচ্ছেন। সেজন্য এই কর্মসূচি নেওয়া ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সত্যিই আসলে বারবারই আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের বিষয়টি সামনে আসছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের যদি বিস্তারিত বলতেন। 
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী: দেশে বিভিন্ন ক্যাডারগুলোর মধ্যে এক ধরনের ডিসক্রিমিনেশন (বৈষম্য) রয়েছে। যেটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সংবিধান পরিপন্থি বিষয়। কেননা সংবিধানের স্পষ্ট বলা রয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী সমানভাবে সুযোগ-সুবিধা গুলো প্রাপ্য হবেন। প্রত্যেকটি ক্যাডারের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নির্ধারণের কথা বলা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই বৈষম্য দূর করতে সেখানে এটিকে আরো উস্কে দেয়া হচ্ছে। আমাদের পদোন্নতিও নিয়মিত হচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমাদের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবেই অনেককে অবসরে চলে যেতে হচ্ছে।

সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষকদের - banglanews24.com

সারাদেশে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ৩ দিনের কর্মবিরতি চলছে

কিন্তু আমরা শিক্ষা ক্যাডারে একটি ভিন্ন চিত্র দেখেছি। অন্য অনেক ক্যাডারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য বিরাজ করছে। কিন্তু এই বৈষম্যগুলো নিরসনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছেন এবং বৈষম্যগুলো দূর করতেও বলেছেন। আমরা দেখেছি এই নির্দেশনা অমান্য করে বৈষম্য দূর করার বদলে দিন দিন বরং বৈষম্য বাড়ছে।

আমাদের কাছে মনে হয়েছে প্রশাসন যন্ত্রে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে রাষ্ট্রবিরোধী-দেশবিরোধী চক্র বাংলাদেশ অগ্রগতি ব্যাহত করার জন্য এই ডিসক্রিমিনেশন তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কারণ পেশাজীবীদের মধ্যে যদি বৈষম্য থাকে তাহলে সেখানে উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এ কারণে শিক্ষা ক্যাডারে নতুনরা আগ্রহ হারাচ্ছে। এখানে যারা নতুন করে আসেন তারা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আসেন। কিন্তু তারা এসে যখন দেখেন এই সার্ভিসে বহু ধরনের বৈষম্য রয়েছে। তখন তারা এতে অংশগ্রহণের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন এবং অনেকেই এখান থেকে চলে যান।

প্রকৃতপক্ষে এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার। আমাদের একটি অস্তিত্বের সংকট এবং মর্যাদার সংকট তৈরি হচ্ছে। সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই বিষয়গুলোর বৈষম্য নিরসন করতেই আমরা চিন্তা করেছি সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সেজন্য আমরা সমিতির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি দিয়েছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এসব সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কথা আমরাও শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী: আপনি দেখবেন ২০১৫ সালের পে স্কেলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সার্ভিসের নাম হচ্ছে শিক্ষা ক্যাডার। এটি যখনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হলো তখন তিনি ২টি কমিটি করে দিয়েছিলেন। যাদের কাজ ছিল এই বৈষম্যের বিষয়টি সমাধান করা। সেই কমিটির সুপারিশের আলোকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেটা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

ফলে আমাদের ক্যাডার কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ পদধারী হলেও চতুর্থ গ্রেডে থেকে যাচ্ছেন। মূলত শিক্ষা ক্যাডার ধ্বংস করার জন্য এটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। প্রশাসনে যারা ঘাপটি মেরে বসে আছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছে তারা এটিকে জিইয়ে রেখেছে।

যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই বৈষম্য দূর করতে সেখানে এটিকে আরো উস্কে দেয়া হচ্ছে। আমাদের পদোন্নতিও নিয়মিত হচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমাদের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবেই অনেককে অবসরে চলে যেতে হচ্ছে। কেউ কেউ অধ্যাপক পর্যন্ত হতে পারছেন না। এই যে একটি চরম প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা যাচ্ছেন সেটি দূর করতে হবে। সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথাই বলেছেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শিক্ষা ক্যাডারের বৈষম্যের বিষয়টি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে কেমন প্রভাব ফেলছে? 
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী: এ বছর বিশেষ শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্যে শিক্ষক সংকট দূর করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সর্বস্তরে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে এবং সুপরিকল্পিতভাবে এটি করা হচ্ছে। কারণ এই শিক্ষক সংকট হলে শিক্ষার মান হ্রাস পাবে আর শিক্ষার মান যদি হ্রাস পায় তাহলেই দেশের অগ্রগতি পিছিয়ে পড়বে।

আর একটা জিনিস বলে রাখি আমরা আশঙ্কা করছি, শিক্ষাকে যেভাবে গ্রাস করা হচ্ছে তাতে কিছুদিন পর হয়তো সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ হবেন নন-প্রফেশনাল কেউ। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে দখলের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। সেখানে এডুকেশনের বাইরের লোকেরা আসবে। আসলে প্রাথমিক শিক্ষার যে বেহাল দশা এখন হয়েছে, এটি হয়েছে এর ম্যানেজমেন্টের ত্রুটির কারণে।

আমরা দেখেছি অস্বাভাবিক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে যেটা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আমাদের প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ শিক্ষার প্রতিটি পর্যায়কে খণ্ডবিখণ্ড করা হয়েছে। ফলে বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত আসছে এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট খাতগুলো পিছিয়ে পড়ছে। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নেতৃত্ব দিতে হবে। 

পৃথিবীর যেখানেই যারা শিক্ষায় অগ্রসর হয়েছেন সেখানে শিক্ষাবিদরাই কিন্তু মূল ভূমিকা পালন করেছেন। কেবলমাত্র বাংলাদেশরই ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এই সমস্যা থেকে উত্তরণের কি উপায়?
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী: শুধুমাত্র বৈষম্য নয় বরং এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন, মর্যাদার প্রশ্ন। এমন পরিবেশে আমাদের নতুন সহকর্মীরা হতাশ হচ্ছেন। ৮-১০-১২ বছরেও একটা পদোন্নতি হচ্ছে না। ১৫-১৮  বছরেও দ্বিতীয় পদোন্নতি হচ্ছে না। বছরের পর বছর পদোন্নতিহীন থেকে সমাজে, পরিবারে নিগৃহীত অবস্থায় তাদের বিদায় নিতে হচ্ছে।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আমাদের ১৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের ২৬-২৭ বছর হয়েছে এখনো সহযোগী অধ্যাপক থেকে পদোন্নতি পাচ্ছেন না। এমন করে পুরো শিক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এটি আমরা হতে দিতে পারি না। সেজন্য আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করেছি এবং আগামী তিনদিন পালন করব। শুধু কলেজ নয় বরং সকল অফিসেও কিন্তু এটি পালিত হচ্ছে। আর আগামীকাল থেকে কলেজে অফিসে কোথাও কেউ কাজ করবে না। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা যে যেখানে থাকেন না কেন তারা কোন কাজ করবেন না। 

আমাদের প্রত্যেকটি দাবি যৌক্তিক। এমন একটি দাবিও পাবেন না যেটি পড়ে মনে হবে আমরা বাড়াবাড়ি করছি। প্রতিটি দাবি হচ্ছে শিক্ষার মানের সাথে সংশ্লিষ্ট। আজ ৯ বছরেরও অধিক সময় ধরে শিক্ষা ক্যাডারের পদসৃজন ঝুলিয়ে রেখেছে নন প্রফেশনালরা। যারা শিক্ষা বোঝেন না তারা।

আমরা স্পষ্ট বলতে চাই যারা শিক্ষা বোঝে না তারা যদি ওই জায়গাগুলোতে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের বিপর্যয় আসন্ন। সেজন্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যে নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে সেটি বাতিল করতে হবে। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: নির্বাচনের আগেই কেন আপনারা আন্দোলনে নেমেছেন? সরকারকে চাপে ফেলতেই কি আপনাদের এই সময়ে আন্দোলন?
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী: অনেকেই বলে থাকেন আপনারা এই মুহূর্তে কেন আন্দোলন করছেন? আসলে আমরা সরকারের কাছে সঠিক মেসেজটি পৌঁছে দিতে চাই। সরকারের প্রশাসন যন্ত্রে বিএনপি-জামায়াত, স্বাধীনতা বিরোধীচক্র রয়েছে তারাই কিন্তু এসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। কাজেই আমাদের এই আন্দোলনটি সরকারকে সহায়তা করার জন্য।

আমাদের ১৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের ২৬-২৭ বছর হয়েছে এখনো সহযোগী অধ্যাপক থেকে পদোন্নতি পাচ্ছেন না। এমন করে পুরো শিক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এটি আমরা হতে দিতে পারি না।

নিজেদের দাবি তুলে ধরে ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কর্মকর্তারা

বিএনপি-জামায়াতের শাসন আমল থেকেই শিক্ষার্থী বিভক্ত করা শুরু হয়েছে। এসবই বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা পেশাজীবীদের কর্তৃত্ব ছাড়া পেশাজীবীদের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কোন ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করা যাবে না। যতদিন পর্যন্ত না প্রতিটি জায়গায় যোগ্য পেশাজীবীরা আসীন না হবেন; ততদিন পর্যন্ত উন্নতি-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা সেজন্যই মনে করি এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা শুধুমাত্র পদোন্নতি তৈরি নয়; যত দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান হবে রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রায়ও তথ্য দ্রুত বাড়বে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কর্মক্ষেত্রে শিক্ষকরা অনেক সময় লাঞ্ছিত হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না। বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন? 
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী: কর্মক্ষেত্রে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি শুধুমাত্র শিক্ষা ক্যাডারের জন্য খারাপ নয় বরং এটি রাষ্ট্রের জন্য অমর্যাদাকর এবং লজ্জার। রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য যারা কাজ করেন তাদেরকে যদি নিজ কর্মস্থলে হয়রানি শিকার হতে হয় এর চেয়ে দুঃখজনক লজ্জাজনকের কিছু হতে পারে না।

এই বিষয়গুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের কর্তৃপক্ষকে জানানোর চেষ্টা করেছি। একেবারেই যে বিচার হয়নি তা বলা যাবে না। তবে দৃষ্টান্তমূলক কোন শাস্তি হয়নি। এসব বিষয়কে সামনে রেখেই আমাদের এসব কর্মসূচি। আমরা আশা করি এসবের মধ্য দিয়ে খুব দ্রুতই একটি ভালো অবস্থা তৈরি হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরীর হাত ধরেই শিক্ষা ক্যাডারের যাবতীয় সমস্যার সুন্দর সমাধান হবে এই প্রত্যাশা কামনা করছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী: আপনাকেও ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence