ইয়েমেনে প্রথম স্নাতকের পর বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্নাতকের জন্যে এসেছি

আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি
আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি  © টিডিসি ফটো

ইয়ামেন থেকে বাংলাদেশের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে পড়াশোনা করতে এসেছেন আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল এডুকেশন বিভাগে পড়াশোনা করছেন। আব্দুল্লাহ সম্প্রতি নিজের পড়াশোনা ও বাংলাদেশে আসার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের মুখোমুখী হয়েছেন। তার কথাগুলো শুনেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের তাওফিকুল ইসলাম হিমেল

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার শৈশব নিয়ে জানতে চাই?
আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি: আমি স্থানীয় আল ফাতেহ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করি। এরপর আমি আল-তাওইলাহ জেলার ইয়েমেনের উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি। আমার বাবার নাম আলী আহমেদ আল-নুসাইরি, তিনি একজন শিক্ষক। আমার মায়ের নাম সাইদা হাদী সালেহ। তিনি গৃহিণীর কাজ করেন। আমার ৬ ভাই ও এক বোন। আমার বোন উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পরে সানার ধহবানের টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করছেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার বাংলাদেশে আসার পেছনের গল্প কি?
আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি: আমি ২০১৮ সালে সানার ধহবানের টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক পাস করেছি। তারপর ইয়ামেনের একটি বড় কোম্পানিতে চাকরি পাই, যেটি শিশুর খাবার তৈরি করে। তারপর আমি ২০১৯ সালে মোবাইল ফোন রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করেছি। তারপর আমি আমার আরো উন্নত পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছি।

আরও পড়ুন: মেডিকেল-এমআইএসটিতেও সুযোগ পেয়েছিলেন আইইউটিতে তৃতীয় নাফিস

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কেন বাংলাদেশকেই বেছে নিলেন?
আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি: আমি বাংলাদেশেকে বেছে নিয়েছি কারণ এটি একটি সুন্দর মুসলিম দেশ এবং এটি সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল। বাংলাদেশ সুন্দর এবং এদেশের মানুষ নম্র-ভদ্র।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাংলাদেশের কোন বিষয়গুলো আপনার বেশি ভালো লাগে?
আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি: এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদী-নালা, মানুষ খুবই সহজ-সরল ও সৌন্দর্যমন্ডিত। যেটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাংলাদেশের কোন বিষয়গুলো আপনার ভালো লাগে না?
আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি: আমার কাছে সব থেকে বাজে মনে হয় এদেশের যানজট সমস্যা এবং এদেশে  বাড়ি ঘরের অবকাঠামো আরো সুন্দর করা উচিৎ।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি: আমার স্নাতক শেষ করার পর আমি ইয়েমেনে ভালো একটি চাকরিতে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা আছে। কারণ ইয়ামেনে অনেক সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সুযোগ রয়েছে। ইয়েমেনে চাকরি পাওয়া  অনেক সহজ।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাংলাদেশ ও ইয়ামেনের মধ্যে সাংস্কৃতিক কি ধরনের পার্থক্য আপনি উপলব্ধি করেছেন?
আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি: বাংলাদেশ এবং ইয়েমেনের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। কারণ আমাদের একটি ধর্ম এবং একই সংস্কৃতি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাংলাদেশ ও ইয়ামেনা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কেমন?
আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি: ইয়েমেনের শিক্ষাব্যবস্থা বাংলাদেশের মতোই, তবে শিক্ষাগত দিক থেকে বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত আছে, ইনশাআল্লাহ। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য ধন্যবাদ।
আব্দুল্লাহ আলী আহমেদ আল-নুসাইরি: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে কেউ অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং অনেক শুভকামনা।


সর্বশেষ সংবাদ