ড্যাফোডিলের হল পরিচালনায় ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যানের নিজস্ব কোম্পানি, বছরে ব্যবসা আনুমানিক ৩৫ কোটি টাকা
- ২৫ কর্মচারী দিয়ে চলছে কোম্পানির প্রতিষ্ঠান
- অতিরিক্ত তলায় ঝুঁকিতে ৯০০ শিক্ষার্থীর জীবন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ PM , আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ PM
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) আবাসিক হল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি ভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হল থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করছে ওই প্রতিষ্ঠানটি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির মালিক খোদ ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল পরিচালনার নামে কোম্পানি খুলে বাণিজ্যিকভাবে অর্থ উপার্জনের এই প্রক্রিয়া ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কোম্পানির মধ্যকার চুক্তি প্রকাশ করা না হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া হল ফি’র পুরো অর্থই পাচ্ছে ওই কোম্পানি। এমনকি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি দুইতলা ভবনও কোম্পানিটিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়—ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পর সবচেয়ে বেশি আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীর হার এখানেই সর্বোচ্চ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত মোট পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য তিনটি ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন–১, ২ ও ৩ এবং মেয়েদের জন্য দুটি রওশন আরা স্কলার গার্ডেন–১ ও ২। এসব হলে আনুমানিক আট হাজার শিক্ষার্থী আবাসিক হিসেবে বসবাস করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচালনা করা অস্বাভাবিক নয়। তবে মন্তব্য করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় ও আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের চুক্তিতে কী আছে তা দেখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে থেকেই যদি অর্থ আদায় করা হয়, তাহলে সেটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অভিযোগগুলো আমরা খতিয়ে দেখব— অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণের পর থেকে এসব হল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের অধীনে সরাসরি পরিচালিত হতো। তবে বর্তমানে ‘ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে হল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানের নাম জনসম্মুখে আসে, যদিও হলগুলোর নির্মাণ এর আগেই সম্পন্ন হয়। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খানের নিজ মালিকানাধীন।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান। আইন অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য পরিচালিত হওয়ার কথা। অথচ অভিযোগ রয়েছে, এই আইনের পরিপন্থীভাবে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের হল পরিচালনার নামে কোম্পানি খুলে বাণিজ্যিকভাবে অর্থ উপার্জন করা হচ্ছে। ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েও নিজের মালিকানাধীন কোম্পানির মাধ্যমে হল পরিচালনা করানো আইনবিরোধী বলেও মনে করছেন তারা।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের অনুসন্ধানে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ১০ জনের বেশি ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে এবং বিভিন্ন নথিপত্র বিশ্লেষণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হঠাৎ করেই বেড়েছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ফি। আগে শিক্ষার্থীদের মাসিক ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে দিতে হতো। ২০২৫ সালের ফল সেমিস্টার পর্যন্ত ট্রাই-সেমিস্টার শিক্ষার্থীদের চার মাসের জন্য এককালীন ১৪ হাজার এবং বাই-সেমিস্টার শিক্ষার্থীদের ছয় মাসের জন্য ২১ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। তবে ২০২৬ সাল থেকে নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক হল ফি বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে চার মাসের হল ফি দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার টাকা এবং বাই-সেমিস্টার শিক্ষার্থীদের ছয় মাসে দিতে হবে ২৪ হাজার টাকা। একই সঙ্গে এককালীন ভর্তি ফিও ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এই হিসাবে ২০২৫ সালের ফল পর্যন্ত ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা বছরে প্রায় ৪২ হাজার এবং ২০২৬ সালের স্প্রিং সেমিস্টার থেকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা বছরে প্রায় ৪৮ হাজার টাকা করে পরিশোধ করবেন।
হল সূত্র জানায়, প্রতিটি কক্ষে চারজন করে শিক্ষার্থী থাকেন। সে হিসাবে পুরোনো শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একটি কক্ষ থেকে মাসিক ১৪ হাজার টাকা এবং বছরে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে হল ফি (আনুমানিক আট হাজার শিক্ষার্থী), ভর্তি ফি (আনুমানিক তিন হাজার নতুন শিক্ষার্থী তিন সেমিস্টারে উঠে থাকেন) এবং হলগুলোর ক্যান্টিন ও দোকান ভাড়া মিলিয়ে বছরে আনুমানিক ৩৫ কোটি টাকা আদায় করছে ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ড্যাফোডিল প্রশাসন হল ফি আদায়ে নতুন একটি নিয়ম চালু করে। আগে সেমিস্টার রেজিস্ট্রেশনের সময় একসঙ্গে পুরো সেমিস্টারের হল ফি পরিশোধ করতে হতো। তবে ২০২৪ সাল থেকে সেমিস্টার শুরুর ১০–১৫ দিন আগেই হল ফি দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি না দিলে জরিমানা আরোপের পাশাপাশি সিট বাতিল করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনালের চাপেই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোম্পানির অর্থ আদায়ের কাঠামোর বাইরে কিছু করছে না।
হলে ওঠার পর শিক্ষার্থীরা বেড, টেবিল, চেয়ার ও বক্স বা ওয়ারড্রোবসহ বিদ্যুৎ ও ওয়াই-ফাই সুবিধা পান। প্রতি ১৬ থেকে ২০টি কক্ষের জন্য একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, প্রতিটি হলে ৩–৪ জন হোম টিউটর এবং ২–৩ জন করে ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনালের কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। তবে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এসব সুবিধার অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে দেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগে হলগুলো রেজিস্ট্রার অফিসের অধীনে ছিল। পরে প্রশাসনিক জটিলতার কথা বলে কোম্পানির হাতে দেওয়া হয়। আসবাবপত্র, বিদ্যুৎ, জেনারেটর ও জ্বালানি সবই বিশ্ববিদ্যালয় বহন করে।
আরেক কর্মকর্তা জানান, কোম্পানিতে মোট কর্মকর্তা প্রায় ২৫ জন। তাদের মূল কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরঞ্জাম শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দেওয়া। প্রয়োজনে খরচ করে পরে হিসাব দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়।
আগে শিক্ষার্থীরা হল ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় জমা দিতেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসের প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট আয়তনের একটি দুইতলা ভবন কোম্পানিটিকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ‘ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল ক্যাশ কাউন্টার’ নামে সাইনবোর্ড ঝুলছে। শিক্ষার্থীদের হল ফি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে নয়, ওই কোম্পানির ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিতে হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হল ফি বাড়ানোর ক্ষমতাও কোম্পানির হাতে। গত ৯ আগস্ট রেজিস্ট্রার অফিসে প্রণীত হল বিধিমালার ৪৩টি নিয়মের মধ্যে ৩৯ নম্বর নিয়মে কোম্পানিকে একতরফাভাবে ফি নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন–১-এর বি ব্লক ভবনটির অনুমোদন ছিল ১২ তলা। তবে ২০২৪ সালে অতিরিক্ত আয়ের লক্ষ্যে আরও একটি তলা নির্মাণ করা হয়। এতে কোম্পানির আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা অতিরিক্ত আয় হলেও সেখানে বসবাসরত প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থীর জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানির চাপেই অতিরিক্ত তলা নির্মাণ করা হয়, যদিও আবহাওয়া ও নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেকে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
ক্যান্টিন পরিচালনাতেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি হলে এক বা দুটি করে ক্যান্টিন ও দোকান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের খাবারে কোনো ভর্তুকি নেই। উল্টো ক্যান্টিন থেকে মাসিক ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছে কোম্পানিটি। ক্যান্টিন চুক্তির সময় ‘সিকিউরিটি মানি’ বাবদ ১০ লাখ টাকার বেশি দিতে হয়। ফলে সেই টাকা তুলতে শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি দামে খাবার বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এছাড়া প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে হলের শিক্ষার্থীদের জন্য জনপ্রতি ২০০ টাকা করে বাজেট বরাদ্দ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আসে। কোম্পানির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের খাবার সরবরাহ করা হলেও এ ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারিতে খাবারের মান ও পরিমাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনেও নামেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হল ও সরবরাহকৃত সুবিধা কেবল শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘পরিচালনা’ নামের এই কোম্পানি। অথচ কর্মরত প্রায় ২৫ জন কর্মচারীর বেতন ছাড়া কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যয় নেই বলেই জানা গেছে।
হল বিধিমালার একাধিক ধারা শিক্ষার্থীদের মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে আইনি সহায়তা নিতে হলে হল প্রভোস্টের অনুমতি নেওয়ার বিধান, শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতিতে কক্ষ তল্লাশির সুযোগ, হল–সংক্রান্ত বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট নিষিদ্ধ করা এবং কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই সিট বাতিলের ক্ষমতা। বিধিমালার ১৪, ১৭, ২২, ২৯ ও ৪৩ নম্বর নিয়ম সংবিধানের ৩১ ও ৩৯(১) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত নন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচালনা করা অস্বাভাবিক নয়। তবে মন্তব্য করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় ও আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের চুক্তিতে কী আছে তা দেখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে থেকেই যদি অর্থ আদায় করা হয়, তাহলে সেটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অভিযোগগুলো আমরা খতিয়ে দেখব বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে হল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনালের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল কথা বলতে রাজি হননি। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ নাদির বিন আলীও কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি অভিযোগগুলোর বিষয়ে পুরোপুরি জানেন না বলেও দাবি করেছেন।
সার্বিক বিষয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর কবির দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার মাত্র চার মাস হয়েছে এবং তাই তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।