ঢামেকে রোগী-স্বজনের জন্য বিশুদ্ধ পানির সংকট, বিশুদ্ধকরণ মেশিন বাড়ানোর দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ১০:৫১ PM , আপডেট: ৩০ মে ২০২৫, ০৭:৩২ PM
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগী, স্বজন ও সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছে চারটি বিশুদ্ধ পানির মেশিন। এসব মেশিন থেকে ২ টাকা লিটারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। হাসপাতালে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। মেশিন কম থাকায় অনেকে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের সাধারণ টেপের পানি পান করেন।
সম্প্রতি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিবেদক হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে এমন চিত্র দেখতে পান। হাসপাতালে আগত শফিকুর রহমান নামে এক রোগীর স্বজন জানান, ‘আমি এখান থেকে ২ লিটার পানি ৫ টাকা করে নিচ্ছি। যদিও এখানে পানির মূল্য নির্ধারিত রয়েছে ২ টাকা লিটার। এখানে বিশুদ্ধ পানির চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু মেশিনের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় সবাইকে দীর্ঘ সময় সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেক সময় সিরিয়াল পেতে না পেরে অনেকে পানি না নিয়েই ফিরে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের টেপের পানি খুব একটা ভালো না। অনেক সময় সেই পানি খেয়ে রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। যারা দুর্বল বা যাদের রোগের প্রকৃতি গুরুতর, তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। অথচ আমরা দেখছি, এই গুরুত্বপূর্ণ সেবাটির পরিধি এখনও সীমিত। বিশুদ্ধ পানির এমন সংকটে রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগ বাড়ছে প্রতিদিন। তাই হাসপাতালের ভিতরে আরও বেশি বিশুদ্ধ পানির মেশিন স্থাপন করা দরকার।’
আরও পড়ুন: দুটি মেশিনই বিকল, ঢামেকে থমকে আছে এমআরআই পরীক্ষা
হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারটি বিশুদ্ধ পানির মেশিন স্থাপিত রয়েছে। তবে রোগী ও তাদের স্বজনদের বিশাল সংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন এই হাসপাতালে। ফলে বিশুদ্ধ পানির চাহিদা থাকে বেশি। মেশিন কম থাকায় অনেকে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের সাধারণ টেপের পানি পান করেন। যা অনেক সময় খাওয়ার উপযোগী থাকে না। বিশেষ করে ডায়রিয়া, কিডনি রোগ, শিশু ও বয়স্ক রোগীদের জন্য নিরাপদ পানির গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
বিষয়টি জানতে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানকে ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।