দুটি মেশিনই বিকল, ঢামেকে থমকে আছে এমআরআই পরীক্ষা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১০:১৫ PM , আপডেট: ২৯ মে ২০২৫, ০৮:৫৬ PM

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুটি এমআরআই মেশিন থাকলেও দুটিই অচল হয়ে পড়েছে। ফলে রোগীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। মেরামতের কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এতে রোগীদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় তারা বাধ্য হচ্ছেন বাইরের প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে ব্যয়বহুল পরীক্ষার পথ বেছে নিতে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আগে থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি এমআরআই মেশিন অচল ছিল। সর্বশেষ আজ বাকি আরেকটিও অচল হয়ে পড়ে। ফলে রোগীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, মেশিন দুটি মেরামতের কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এতে রোগীদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে এবং বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় তারা বাধ্য হচ্ছেন বাইরে থেকে ব্যয়বহুল পরীক্ষার পথ বেছে নিতে।
হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, এমআরআই মেশিন দুটির একটিও সচল হয়নি। বেশ কিছুদিন ধরেই এই একটি মেশিন বিকল অবস্থায় ছিল,কিন্তু মেরামতের জন্য এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে একদিকে যেমন রোগীদের দ্রুত ও সঠিক রোগ নির্ণয় ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা প্রক্রিয়াও ধীরগতিতে চলছে।
সূত্র আরও জানায়, সিটি স্ক্যান মেশিন রয়েছে ৩টি এর মধ্যে ২টি সচল থাকলেও একটি মেশিন অচল রয়েছে। এক্স-রে মেশিন রয়েছে মোট ১০টি এবং বর্তমানে সবকটিই সচল; যদিও কিছুদিন আগে একটি মেশিন অচল ছিল। এছাড়া, আল্ট্রাসাউন্ড বা ইউএসজি মেশিন রয়েছে ৫টি যার মধ্যে ৪টি সচল এবং একটি অচল। এন্ডোস্কোপি মেশিন রয়েছে ৩টি যেখানে সবগুলোই সচল রয়েছে। একইভাবে ক্রোনোস নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল মেশিনের ৩টি ইউনিট রয়েছে এবং সবগুলো সচল। নিউরোলোজিক্যাল ব্যবস্থায় ব্যবহৃত ব্রেইন এনজিওগ্রাফি মেশিন এবং কার্ডিয়াক ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হার্ট এনজিওগ্রাফি মেশি—দুটিরই একটি করে ইউনিট রয়েছে ও উভয়ই সচল রয়েছে।
ঢামেকের অপারেশন থিয়েটার বা ওটির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। এখানে ২৩ থেকে ২৫টি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। এটি প্রতিদিন নানা ধরনের সার্জারির জন্য ব্যবহৃত হয়। আইসিইউ সেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালটির রয়েছে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত ইউনিট। ওএসইসি (One Stop Emergency and Casualty)–এর অধীনে ইমার্জেন্সি আইসিইউ বেড রয়েছে ১২টি।
এখানে সর্বাধিক জরুরি অবস্থার রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুরাতন ভবনের ৪র্থ তলায় রয়েছে ৪২টি আইসিইউ বেড, বার্ন ইউনিটে রয়েছে ২০টি বেড এবং নতুন ভবনে রয়েছে আরও ২১টি আইসিইউ বেড। সব মিলিয়ে মোট আইসিইউ বেডের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৫টি। এসবের পাশাপাশি নবজাতকদের জন্য রয়েছে NICU (Neonatal Intensive Care Unit) এবং শিশুদের জন্য রয়েছে PICU (Pediatric Intensive Care Unit), যা শিশু ও সদ্যোজাতদের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসায় বড় ভূমিকা রাখে।
বিষয়টি জানতে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানকে ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।