মানসিক চাপ দূর করার উপায়

মানসিক চাপ
মানসিক চাপ   © সংগৃহীত ছবি

অতিরিক্ত হতাশা বা মানসিক চাপ নিয়ে শুধু কিশোর-তরুণরাই নয়, অসুস্থ বয়স্করাও থাকেন শঙ্কায়। সবার মানসিক চাপ কমাতে প্রয়োজন সচেতনতা ও তাদের প্রতি অন্যদের সহানুভূতি। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে ৭৫ থেকে ৯০ শতাংশই কোনো না কোনো ধরনের মানসিক চাপে থাকে। অথচ এই চাপের ফলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত চাপে যা ঘটে:

অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন ও কর্টিসল নিঃসরণ, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, মাংসপেশিতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হওয়া, পাকস্থলীর অসুখ, অহেতুক শক্তি প্রয়োগের প্রবণতা বাড়া, এমনকি জন্মদান ক্ষমতা পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এসবের প্রতিক্রিয়ায় অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হয়, হার্ট ফেইলিওর, হার্ট অ্যাটাক, পাকস্থলীর আলসার বা পেটের পীড়া ইত্যাদি অসুখ হতে পারে।

মানসিক চাপমুক্ত থাকার উপায়-

সদা হাসিখুশি থাকুন:

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে অন্তত ১৫ বার মন খুলে হাসে তাদের মানসিক চাপ অনেক কমে যায়। শিশুরা সহজেই হাসতে পারে বলে তাদের মানসিক চাপও কম। হাসিখুশি থাকলে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন নামের স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন কমে।

আরও পড়ুন: মায়ের কিডনিতে নতুন জীবন পেলেন বেরোবির জাহিদ

পায়ের পাতার ব্যায়াম করুন:

এটা মানসিক চাপ কমানোর প্রাচীন ও কার্যকর একটি পদ্ধতি। পায়ের পাতার নিচে ছোট এক টুকরা কাঠির মতো কিছু রেখে দিন। পাঁচ মিনিট ওটাকে রোল করে সামনে-পিছে নিন। এতে মস্তিষ্কে এন্ডোরফিনস নামের হরমোন নিঃসরণ হওয়ায় চাপ কমায়।

কায়িক শ্র্রম দিন, ব্যায়াম করুন:

নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করলে দেহে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে যায়, শরীর ফিট থাকে। তখন অসুখ-বিসুখও কম হয়। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড থেকে উদ্বিগ্নতা নিসরণকারী এনডোর্ফিনস হরমোন নিঃসৃত হয়।

আরও পড়ুন: রং ও তুলির আঁচড়ে প্রতিবাদ, প্রদীপ প্রজ্বলনে হিমেলকে স্বরণ

অতিরিক্ত চর্বি ও তেলযুক্ত খাবার কম খান:

অতিরিক্ত তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো হজম হতেও সময় লাগে। অনেক অসুখ-বিসুখের কারণও এসব খাবার। এসবের পরিবর্তে সবুজ শাকসবজি, বাদাম, ননিবিহীন দুধ ইত্যাদি খান। এগুলোতে থাকা ভিটামিন ই, বি, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক মস্তিষ্ক চাঙ্গা রাখতে সহায়তা করে।

জোরে জোরে দম নিন:

যখন কোনো কিছু নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন থাকেন বা আকস্মিক কোনো বিপদের মুখে পড়েন, তখন দীর্ঘশ্বাস নিন। কিছুক্ষণ ধরে রেখে ছেড়ে দিয়ে আবার দীর্ঘশ্বাস নিন। এভাবে কয়েক মিনিট পর আবার করুন। এতে শরীর ও মস্তিষ্কের কোষগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হয়ে আসে, মানসিক চাপও কমে যায়।

সূত্র: ইন্টারনেট


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence