লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে সরকার

লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে সরকার
লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে সরকার  © ফাইল ছবি

দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় লকডাউন পরিস্থিতি থেকে ধাপে ধাপে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে সরকার। এ বিষয়ে রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আরো অংশ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের বেপরোয়া চলাফেরার কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তৈরি হয়েছিল, অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সরকারের কঠোর ব্যবস্থার কারণে এখন সেই সংক্রমণ অনেক নিচে নেমে এসেছে। পাশের দেশে যে অবস্থা চলছে, সেটা যদি বাংলাদেশে হয় তবে সামাল দেওয়া যাবে না।

পড়ুন: লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে বিশেষজ্ঞদের ১০ সুপারিশ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউন বাস্তবায়নে এবং কালোবাজারি, মজুদদারি ও অহেতুক পণ্যের দাম বাড়ানো রোধ করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসি এলাকার কয়েকটি কাঁচাবাজার পাশের সুবিধাজনক মাঠ বা উন্মুক্ত জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নগর সংস্থাটির পক্ষ থেকে জনকল্যাণমূলক সর্বাত্মক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমরা চাই যেকোনো পদ্ধতিতেই হোক সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হবে। নয়তো আবারও বিপদ হতে পারে। আর সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা এবং পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, লকডাউন থেকে কিভাবে ধাপে ধাপে বেরিয়ে আসা যায় সে বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হয়।

পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই লকডাউন, জনস্বাস্থ্য ভেঙে পড়ার আশঙ্কা

তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের বাইরের বিভিন্ন সংস্থা কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, সেগুলো যার যার অবস্থান থেকে তুলে ধরা হয় বৈঠকে বেশির ভাগ বক্তাই ঈদের আগে গণপরিবহন চালু না করা, সীমান্ত বন্ধ রাখা, জরুরি কারণে যারা দেশে ঢুকছে, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধির প্রতিটি বিষয় মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন।