মিশনে আহত-নিহত বাংলাদেশি সেনাদের পরিচয় জানা গেল, কোন জেলায় কত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩১ PM , আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৭ PM
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় শহীদ ও আহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। এ হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মধ্যে কুড়িগ্রামের ৩ জন রয়েছেন। এছাড়া উত্তরবঙ্গের নাটোর ও গাইবান্ধা জেলার রয়েছেন আরও ২ জন। একই ঘটনায় আহতদের মধ্যেও কুড়িগ্রাম জেলার একজন শান্তিরক্ষী রয়েছেন।
আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কাদুগলি লজিস্টিক বেসে এই ড্রোন হামলা পরিচালিত হয়। হামলায় দায়িত্ব পালনরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন এবং আরও আটজন শান্তিরক্ষী আহত হন।
হামলায় শহীদ হওয়া শান্তিরক্ষীরা হলেন— কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা, এএসসি (নাটোর); সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক শামীম রেজা, বীর (রাজবাড়ি); সৈনিক শান্ত মন্ডল, বীর (কুড়িগ্রাম); মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আরও পড়ুন: হাদির আসামিদের ভারত পালানোর তথ্য, যা বলছে পুলিশ
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন— লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, পিএসসি, অর্ডন্যান্স (কুষ্টিয়া); সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, বীর (দিনাজপুর); কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, সিগন্যালস (ঢাকা); ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, ইএমই (বরগুনা); সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, ইঞ্জিনিয়ার্স (রংপুর); সৈনিক চুমকি আক্তার, অর্ডন্যান্স (মানিকগঞ্জ) এবং সৈনিক মো. মানাজির আহসান, বীর (নোয়াখালী)।
আইএসপিআর জানায়, আহত আটজন শান্তিরক্ষীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাতজন আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তারা সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।