দুই লাল কার্ড, মুসিয়ালার ইনজুরি—নাটকীয় ম্যাচে বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিতে পিএসজি

পিএসজি ও বায়ার্ন মিউনিখের নাটকীয় ম্যাচ
পিএসজি ও বায়ার্ন মিউনিখের নাটকীয় ম্যাচ  © সংগৃহীত

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই-ই দেখল ফুটবলপ্রেমীরা। প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও বায়ার্ন মিউনিখের নাটকীয় ম্যাচে দুই লাল কার্ড, জামাল মুসিয়ালার ভয়ঙ্কর ইনজুরি আর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা—তবে কেবল পিএসজিই গোলের দেখা পেয়েছে।

শনিবার (৫ জুলাই) রাতে আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে জার্মান চ্যাম্পিয়ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রেখেছে ফরাসি জায়ান্টরা।

সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে প্রথমার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণেও গোলশূন্য ছিল ম্যাচটি। অবশ্য তৃতীয় মিনিটেই ভালো সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি, কিন্তু দারুণ পজিশন থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি দুয়ে। 

ষষ্ঠ মিনিটে মাইকেল ওলিসের শট ঠেকিয়ে দেন জিয়ানলুইজি ‍দোন্নারুমা। আর ২৭তম মিনিটে ওলিসের আরও একটি জোরালো শট রুখে দেন পিএসজি গোলরক্ষক।

তবে প্রথমার্ধের শেষ বাঁশির ঠিক আগে ভয়ঙ্কর ইনজুরিতে পড়েন বায়ার্নের জার্মান মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। তাকে ব্লক করেন পিএসজি ডিফেন্ডার পাচো। বক্সের মধ্যে দোন্নারুমার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মুসিয়ালার। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে- জয়েন্ট থেকে গোড়ালি ছাড়িয়ে গেছে ।

অবিশ্বাস্য আর স্তব্ধতার বিরতি কাটিয়ে ৭৮তম মিনিটে প্রথম গোল হজম করে বায়ার্ন। লক্ষ্যভেদ করেন ডিজেরি দুয়ে। 

এর চার মিনিটের মাথায় গোরেৎজকাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন উইলিয়ান পাচো। এই ডিফেন্ডার মাঠ ছাড়লে ১০ জনে পরিণত হয় পিএসজি। ৯২তম মিনিটে লাল কার্ড দেখেন থিও হার্নান্দেজ।

তবে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পিএসজিকে বড় কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। ৯৬তম মিনিটে ফের গোল হজম করে বায়ার্ন। বার্কোলার বদলি হিসেবে নামা ওসমান দেম্বেলের শট প্রথমে ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু সুযোগ নষ্ট না করে আশরাফ হাকিমির পাস ধরে আবারও আক্রমণে যান দেম্বেলে এবং ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বর্তমান ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজির । অন্য সেমিফাইনালে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে খেলবে চেলসি।


সর্বশেষ সংবাদ