ফিরব আরও কঠিন হয়ে: সাকিব
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:১২ PM , আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:১২ PM
একটি বিজ্ঞাপনের ভাষায় বলা সাকিবের গল্পটা যেন তার বাস্তবতা। ‘আমি সাকিব আল হাসান, এই ২২ গজই আমার ঠিকানা। কঠিন সময় যাচ্ছে, কিন্তু ফিরবো আরও কঠিন হয়ে। চেষ্টা করে চলেছি, রাত-দিন অবিরাম। লাল-সবুজ গায়ে মাঠে ফিরতে...। বিজ্ঞাপনটির চিত্রে সাকিবের সংলাপ। যেখানে স্পষ্টভাবেইে এই সময়ের সাকিবের ভাবনা ফুটে উঠেছে।
আজ বুধবার ডেইলি স্টার মিলনায়তনে বাঁহাতি অলরাউন্ডার এসেছিলেন ‘লাইফবয়ের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন অনুষ্ঠানে। দুই পক্ষের নয় বছরের পথ বাড়ল আরও তিন বছর। তবে পণ্য দূতিয়ালি ছাপিয়ে সাকিবের অনুষ্ঠানে চলে এল ক্রিকেট প্রসঙ্গ। কঠিন কঠিন প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে স্বচ্ছন্দবোধ না করলেও হাসিমুখে অনেক কিছুই বললেন তিনি।
এ অনুষ্ঠানের শুরুতে ছোট্ট একটু বিজ্ঞাপনী ফুটেজে দেখা গেল, সাকিব বলছেন তিনি তৈরি হচ্ছেন ভালোভাবে ফিরতে। ভালোভাবে ফিরতে তিনি নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন, এ প্রশ্নের উত্তরে একটু রহস্য রাখলেন বাঁহাতি অলারাউন্ডার, ‘আমি ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আপনাদের। অনেক কিছু করে আসছি এবং আসার পর কিছু প্রমাণিত হলো না, সেটার ফল ভালো হবে না! গ্রহণযোগ্যও হবে না। অপেক্ষা করেন, সব ঠিকঠাক থাকলে উত্তর সময়ই বলে দেবে।’
আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়ে সাকিব এখন ক্রিকেটের বাইরে। নিষেধাজ্ঞা কাটতে কাটতে আগামী অক্টোবর। লম্বা সময়ে দলের বাইরে, ক্রিকেটের বাইরে। বাংলাদেশ দলকে, ক্রিকেটকে স্বাভাবিকভাবেই খুব মিস করছেন সাকিব, ‘যেটার সঙ্গে আপনার সম্পৃক্ততা থাকে, সেটা আপনার পছন্দের হোক না হোক মিস করবেনই, এটা খুবই স্বাভাবিক। আমার ক্ষেত্রেও ভিন্ন কিছু নয়।’
যেহেতু ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে আছেন, জীবন কীভাবে কাটাচ্ছেন, সেটি খুলে বলতে চাননি সাকিব। তবে কখনো যদি বলার মতো পরিস্থিতি হয়, তখন বলবেন। এখন এ বিষয়ে বলতে স্বচ্ছন্দবোধ করছেন না। ব্যতিক্রম ঘটনা হচ্ছে, নিষিদ্ধ হলেও সাকিবের জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি, বরং সেটি বেড়েই চলেছে। বেড়ে চলেছে তাঁর পণ্য দূতিয়ালির কাজও (এনডোর্সমেন্ট)। অথচ এমনটা দেখা যায়নি অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ কিংবা ডেভিড ওয়ার্নারের ক্ষেত্রে। তাঁরা যখন নিষিদ্ধ হয়েছেন, তখন পাশ থেকে সরে গেছে সব স্পন্সর। সাকিবের ক্ষেত্রে ঘটছে উল্টো।
কেন উল্টো? সহজ উত্তর— মানুষের ভালোবাসা। ক্রিকেটে ফিরে এই ভালাবাসার প্রতিদান দিতে চান সাকিব, ‘অনেকবারই শুনেছেন, এই কথা বেশ প্রচলিত, জীবিত থাকতে কারও মর্ম বোঝা যায় না। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, আমি জীবিত থাকতে মর্মটা বুঝতে পারছি! আমি খুশি, সবার ভালোবাসা আছে। এখানে আমার দায়িত্বটা বেড়ে যাচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই। চেষ্টা করব এই দায়িত্বটা পালন করতে।’