মিডিয়া থেকে সরে গেলে ভাববে আমি ভয় পেয়েছি: লুবাবা
- আমান উল্যাহ আলভী
- প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৫৫ PM , আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:০১ PM
শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা মিডিয়াতেই কাজ করতে চান। এখন তাকে নিয়ে যত বিদ্রুপ হচ্ছে, সেগুলোর জন্য তার খারাপ লাগছে। তবে সাময়িক খারাপ লাগলেও তিনি তার কাজের মাধ্যমে এসব বিদ্রুপের জবাব দিতে চান। তিনি বলেছেন, এখন মিডিয়া থেকে সরে গেলে বিদ্রুপকারীরা আরও সুযোগ পাবে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে লুবাবা বলেছেন, এটুকের জন্য আমি যদি মিডিয়া থেকে সরে যাই তাহলে মানুষ ভাববে আমি ভয় পেয়ে সরে গিয়েছি। আমি কেন মিডিয়া থেকে সরে যাবো? তবে এটা সত্যি যে আমি ব্রেক নেবো। কিছু দিনের জন্য বিরতি নেব। এই যে এখন তো ইন্টারভিউ দিচ্ছি, সবাই চলে যাওয়ার পর বিরতি নেব। ছায়া মুভিটা রিলিজ হলেও বিরতি নেব।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা দেখে শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবার একটি বক্তব্য অন্তর্জালে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে সমালোচনা করা হচ্ছে তাকে। এমন পরিস্থিতির পর ডিপ্রেশনে ভুগছেন সিমরিন লুবাবা। ট্রল হওয়া প্রসঙ্গে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে কথা বলেছেন লুবাবা।
তিনি বলেন, আমার বয়স ১৩ বছর। সবাই বলে এসব ইন্টারভিউ আমি কীভাবে দিচ্ছি? আবার বলে আমি এই বয়সে অনেক পাকনামি করি, পাকনা হয়ে গেছি। আমি অনেক শুনছি এই রকম কথা। অনেকে বিভিন্ন পোস্টের কমেন্টেও আমাকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলছেন।
আরও পড়ুন: স্কুলেও আমাকে ‘কেন্দে দিয়েছি’ বলে ট্রল করে: লুবাবা
লুবাবা বলেন, পাকনা হওয়া মানেই যে খারাপ এমন তো কিছু না। পাকনা হওয়া মানে আমি আরও কিছু জানছি, আমি আরও কিছু বুঝেছি। শেখার তো কোনো বয়স নেই, তাই না আমি শিখছি। আমি আরলি বয়সে অনেক কিছু শিখে গেছি। আমার মনের ভেতরে যা আছে আমি যেটা দেখছি, সেটাই বলছি।
‘কেন্দে দেওয়া’ বক্তব্যে ব্যাখ্যায় লুবাবা বলেন, কেন্দে দিয়েছি যে কথাটার নিয়ে মানুষ আমাকে বিদ্রুপ করে সেটি হলো বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো’ কথা শুনে আমি কেন্দে দিয়েছি। পরে সেটাই আমি বলেছি। বুঝলাম না, এটা আমি কি কোনো ভুল করলাম!
সিমরিন লুবাবা সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত। লুবাবা গান, মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়েও মনোনিবেশ করেছেন। এমনকি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন এ খুদে শিল্পী। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে একাধিক সিনেমার কাজ।
লুবাবার মা জেমি বলেন, আমার ছোট মেয়েটাকে নিয়ে যেভাবে সামাজিক মাধ্যমে ট্রল করা হচ্ছে, তাতে ও কষ্ট পাচ্ছে। আমি মা হয়ে সেটা বুঝতে পারছি। মেয়েটা ডিপ্রেশনে ভুগছে। এমনিতেই ও কিছুদিন পর মিডিয়াকে একদমই বিদায় জানাবে, আর এর মধ্যেই শুরু হয়েছে ট্রল।