বশেমুরবিপ্রবিতে গবেষণা খাতের বেহাল দশা
- ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া
- প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২০, ০৮:২৭ PM , আপডেট: ১০ মার্চ ২০২০, ০৮:২৭ PM
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি। কিন্তু প্রায় দশ বছর পার হয়ে গেলেও গবেষণা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়টি আশানুরূপ অবদান রাখতে পারেনি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়টির সবচেয়ে অবহেলিত খাতগুলোর মধ্যে গবেষণা খাত একটি।
রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে সংগ্রহীত তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে গবেষণা খাতে ব্যয় করা হয়েছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা, কিন্তু এই সময়ে শুধুমাত্র পরিবহনের জ্বালানি খাতেই ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৮১ হাজার ১১৯ টাকা। যা গবেষণা খাতের ব্যয়ের প্রায় চারগুণ। এমনকি জ্বালানি খাতে প্রথম চার মাসেই ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৪১ লক্ষ ১৩ হাজার ৭২৪ টাকা যা গবেষণা খাতের ব্যয়ের তুলনায় প্রায় ১১ লক্ষ টাকা বেশি।
এছাড়া, রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে সংগ্রহীত তথ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০১৭,২০১৮ এবং ২০১৯ এ গবেষণা খাতে ব্যয় করা হয়েছে যথাক্রমে ১০ লক্ষ,১৩ লক্ষ এবং ৩০ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গবেষণা খাতে মোট ব্যয় করা হয়েছে ৫৩ লক্ষ টাকা যা পরিবহনের জ্বালানি খাতের ব্যায়ের অর্ধেকেরও কম।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘‘পরিবহন খাতে শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে ফলে এই খাতে আমাদের নিজস্ব একটি আয় রয়েছে। আর এই নিজস্ব আয় থেকেই এই খাতে ব্যয় করা হয় অপরদিকে গবেষণা খাতে নিজস্ব কোনো আয় না থাকায় শুধুমাত্র ইউজিসি কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা হয়।’’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কম হওয়ার অন্যতম কারণ শিক্ষক সংকট। শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষক সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় শিক্ষকরা গবেষণায় প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারেননা তবে আমরা চেষ্টা করছি গবেষণা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করার’’।