১০ দফা দাবিতে আজ ফের আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ১১:২৬ AM , আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ১১:২৬ AM
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ ১০ দফা দাবিতে আজ ফের আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি তারা উপাচার্যের নিকট দিয়েছেন।
ক্লাস-পরীক্ষা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, আবরার হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গতকাল মঙ্গলবার ৮ দফা দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজ আরো দুই দফা দাবি বাড়িয়ে মোট ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্যের নিকট নিয়ে গেছেন।
শিক্ষার্থীদের দশ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, খুনিদের শানাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১ অক্টোবরের মধ্যে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে, আবরার হত্যা মামলার সব খরচ এবং ক্ষতিপূরণ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে, মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীন স্বল্পতম সময়ে নিস্পত্তি করতে হবে, অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, ঘটনার পর ভিসি কেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি এবং ৩৮ ঘন্টা পর গিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় আজ দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে তার জবাব দিতে হবে, আবাসিক হলগুলোতে র্যাগ এর নামে এবং ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, এ ধরণের ঘটনা প্রকাশে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপত্তার জন্য সব হলের উইংয়ের দুই পাশে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ক্যাম্পাসে আসলে আন্দোলনকারীরা তাকে ঘিরে ধরেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের জন্য তার কাছে দাবি জানান।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন নেই।’
গত রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফেসবুকে লেখালেখির কারণে কারণে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদেরকে প্রায়ই এ ধরণের নির্যাতনের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আবরার হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের সকল ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আবরারের পিতা। এরমধ্যে ১৩ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।