নোবিপ্রবি হল যেন অস্ত্র-মাদকের গুদাম

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক সালাম হল যেন অস্ত্র ও মাদকের গুদাম। সোমবার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর দেশি অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার করেছে। বিশ্ববিদ্যােলয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুপুর ২টা থেকে দু’ঘন্টাব্যাপী এ অভিযান চালানো হয়।

নোয়াখালীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো জাকারিয়ার নেতৃত্বে অভিযান চালায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি। এসময় আরও ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজেরার মু. ফারুক উদ্দিন, রেজিস্ট্রার মু. মোমিনুল হক, প্রক্টর নেওয়াজ মু. বাহাদুর এবং ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট কাউসার হোসেন সহ প্রক্টোরিয়াল টিম ও সহকারী হল প্রভোস্ট।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিতে এসময় কয়েকটি রুমে তালা ভেঙ্গে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে হলের রুমগুলোতে রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল সহ দেশি কয়েকটি অস্ত্র পাওয়া যায়। এছাড়াও মদের কয়েকটি বোতল পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মু. ফারুক উদ্দিন শিক্ষার্থীদের চালানো তান্ডব এবং অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন হল থেকে অস্ত্র নির্মূল করে সম্পূর্ণ হল মেরামত করে শিক্ষার্থীদের তোলা হবে। এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে ক্যাম্পাস থেকে মাদক নির্মূল করা হবে।

এর আগে গত দুইদিন একই ঘটনার জের ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দুটি গ্রুপ। ফলে হলের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় ঘোষণা দিয়ে ২ ঘন্টার মধ্যে সকল ছাত্রকে হল থেকে বের করে দেয়।

সোমবার সকালে ঘটনার সাথে জড়িতদের বের করতে অধ্যাপক গাজী মু. মহসীনকে আহবায়ক করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এবং হলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তদন্ত করতে সালাম হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট কাউসার হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এদিকে অণুজীববিজ্ঞানের চেয়ারম্যান ড. মু. ফিরোজের আহত হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধন করেন বিভাগের সকল শিক্ষার্থী। এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ