কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ের সিপিপি সূচকে এশিয়ার মধ্যে ১৩৭তম মাভাবিপ্রবি

মাভাবিপ্রবি
মাভাবিপ্রবি   © সংগৃহীত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এমবিএসটিইউ) প্রথমবারের মত মর্যাদাপূর্ণ কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৬-এ স্থান করে নিয়েছে।কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, ‘পেপারস পার ফ্যাকাল্টি (পিপিএফ)’ সূচকে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাভাবিপ্রবি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। এই সূচকে বুয়েট (বুয়েট) প্রথম এবং আইইউটি (আইইউটি) তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

অন্যদিকে, ‘সাইটেশনস পার পেপার (সিপিপি)’ সূচকে মাভাবিপ্রবি  এশিয়ার মধ্যে ১৩৭তম এবং বাংলাদেশের মধ্যে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে।

সামগ্রিকভাবে, মাভাবিপ্রবি ৮৫১–৯০০ ব্যান্ডে অবস্থান করছে এবং ৮৫ শতাংশ সাইটেশন স্কোর অর্জনের মাধ্যমে গবেষণার মানে উল্লেখযোগ্য উৎকর্ষ প্রদর্শন করেছে। এই অর্জনের ফলে এমবিএসটিইউ এশিয়ার মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১.২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানকে অতিক্রম করেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রার প্রতিফলন।

এর আগে, টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচএ) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, মাভাবিপ্রবি বৈশ্বিকভাবে গবেষণার মানে ৭৪৬তম স্থান অর্জন করেছিল। কিউএস-এর এই র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১৭তম।

এই সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন,  ‘এটি আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। গবেষণায় মানোন্নয়ন ও বৈশ্বিক দৃশ্যমানতা বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।'

তিনি বিশেষভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি রিভিউ অ্যান্ড র‍্যাঙ্কিং কমিটি (কিউআরআরসি)-এর অব্যাহত পরিশ্রম ও নিষ্ঠার প্রশংসা করেন, যারা গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাচ্ছেন।

উপাচার্য সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,  'আমরা সবাই মিলে কাজ করলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক খ্যাতি আরও সুদৃঢ় হবে।'

 


সর্বশেষ সংবাদ