আলোচনা বাদে অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উস্কানি, বলছেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৮ PM , আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৫ PM
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উস্কানি ও ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বলে জানিয়েছেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। তাদের ভাষ্য, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধে যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির আলোকে প্রশাসন আলোচনায় বসে। এর যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারীদের আলোচনার টেবিলে ডাকে। যুক্তিতর্কও উপস্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছে, যেন কারও প্রতি কোনও বৈষম্য না হয়।
আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকলেও গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন, তারাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য উস্কানি দিচ্ছেন। আলোচনা ছেড়ে জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
অবরোধ যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, এগুলো শুধু বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র। এটি প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে। আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানিতে জড়িতদের উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখার আহবান জানান তারা। যৌক্তিক দাবি আদায়ে গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি কর্তৃপক্ষ আমলে নেবে বলে মনে করেন তারা।
আরও পড়ুন: ছয় দাবিতে ঢাকা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সাতরাস্তায় অবস্থান
প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের তিন দফা দাবি হলো-
১. ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করে ও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২. দশম গ্রেড (টেকনিক্যাল) বা উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০ শতাংশ কোটা বাতিল করতে হবে। ওই পদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নির্ধারণ করতে হবে এবং উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
৩. বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ব্যতীত কেউ নামের পাশে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।