প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবিতে মানববন্ধন
- মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৮ PM , আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৫ AM
রাজধানীর শাহবাগে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তলা ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। মানববন্ধন কর্মসূচির সঞ্চালনা করেন আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান।
ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশিত আচরণ ও ন্যায়বিচারের বাংলাদেশে বিশ্বাসী। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা ৩টি যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন তাদের অধিকার। আমরা আশা করি সরকার আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেবে এবং সবার প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করবে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘২৭ আগস্ট শাহবাগে, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে, পুলিশের অযাচিত হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, বল প্রয়োগের ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের তরুণ প্রজন্মের উপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা ফ্যাসিবাদের জুলুম ও নিষ্পেষণের কথা, গুম ও খুনের কথা এবং জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে ওই দিনের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেয়ার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্রুত কামনা করছি।’ বক্তারা ছাত্রদের যে কোনো যৌক্তিক দাবীর পাশে থাকার কথা জানান।