নোবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫৩ AM , আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৩ PM
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলমের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে এক বিবৃতিতে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দুই সপ্তাহ পরও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ একাডেমিক পরিবেশ ফিরে আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য তিন সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত। অজ্ঞাত স্থান থেকে উপাচার্য নোটিশ পাঠিয়ে ১১ আগস্ট ক্যাম্পাস খোলার কথা বললেও সাধারণ শিক্ষকগণ ক্যাম্পাসে গিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার সম্পূর্ণ অনুপুযুক্ত পরিবেশ দেখতে পায়। নোবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীর এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে যা বর্তমানে ক্যাম্পাসকে লকডাউন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি অভিভাবকহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যা সাধারণ শিক্ষকদের মর্মপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পাশে থাকেননি, উপরন্ত বিভিন্নভাবে আসহযোগিতা ও হয়রানি করেছে। শুধুমাত্র অসহযোগিতাই নয় শত শত শহীদের রক্ত মাড়িয়ে এই প্রশাসন মাসব্যাপী শোক পালনের কর্মসূচি প্রকাশ করেছিল। আগস্টের ১ তারিখ দিবাগত রাতে শোক দিবসের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছিল এবং মোমবাতি প্রোজ্জ্বলন করেছিল কিন্তু এই গণহত্যার প্রতিবাদে তারা কোনো শব্দ উচ্চারণ করেননি। তাই শিক্ষার্থীদের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগের আন্দোলনকে সাধারণ শিক্ষকগণ যৌক্তিক মনে করে। এমতাবস্থায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকগণ মনে করে বর্তমান প্রশাসনের নৈতিকভাবে এই পদে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্বার্থে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার মহোদয়গণকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।