পাবিপ্রবির সেই ৩ শিক্ষার্থীর শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়নি পুলিশ

পাবিপ্রবির সেই ৩ শিক্ষার্থীর শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়নি পুলিশ
পাবিপ্রবির সেই ৩ শিক্ষার্থীর শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়নি পুলিশ  © সংগৃহীত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না করায় তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, আহত অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তিন শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে আসার পর তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয়নি।

ওসি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের বিষয়টি নিয়ে তাদের এলাকা কুষ্টিয়ার মিরপুর, নাটোরের বড়াইগ্রাম ও পাবনার আটঘরিয়া থানার ওসির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাদের পারিবারিক অবস্থান ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছ। তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় কোনো অভিযোগও নেই।

ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা অন্য কেউ তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয়নি। তাই বুধবার (৫ এপ্রিল) রাতে তিন শিক্ষার্থীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে সব বিষয় নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শাখা ছাত্রলীগ ও পুলিশ কেউ দায় নিচ্ছে না। ছাত্রলীগ ও পাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদেরকে কোনও প্রকার নির্যাতন করা হয়নি। সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে। আর পুলিশের দাবি, শিক্ষার্থীদের আহত অবস্থায়ই উদ্ধার করা হয়।

নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা হলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের গোলাম রহমান জয় (২৫), ইংরেজী বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের আসাদুল ইসলাম (২৩) এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ট্রিপল ই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল হক (২৩)। এদের মধ্যে আসাদুল ইসলাম ও আজিজুল হককে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। আর গোলাম রহমানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে পুলিশী পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ