বাংলাদেশে ইমো এত জনপ্রিয় কেন

ইমো
ইমো  © টিডিসি ফটো

বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ইমোর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় ‘ইমো’। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং ও অডিও-ভিডিও কলের পাশাপাশি এই অ্যাপের মাধ্যমে মিউজিক, ভিডিও এবং পিডিএফসহ বেশ কিছু ফাইলও আদান-প্রদান করা যায়।

বিশ্বজুড়ে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপসের তালিকায় 'ইমো' বেশ নিচে অবস্থান করলেও বাংলাদেশ এটির সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। সবশেষ ২০২১ সালে বাংলাদেশে মোট ডাউনলোড হওয়া অ্যাপগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইমো।

আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ কমবে, আবার বৃষ্টি হতে পারে

২০২০ সালে ৩ কোটি ৭০ লাখ বার ইনস্টল করার মাধ্যমে বিশ্বে ইমোর শীর্ষ ব্যবহারকারীর দেশে পরিণত হয় বাংলাদেশ। সে বছর শুধু বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা ইমোর মাধ্যমে ৯৬ বিলিয়নের বেশি বার্তা পাঠায় ও ২৬ বিলিয়নের মতো অডিও-ভিডিও কল করে। এ ছাড়া ২০২১ সালে বাংলাদেশে মোট ডাউনলোড হওয়া অ্যাপগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইমো।

বাংলাদেশে কেন ইমো এতোটা জনপ্রিয়তা পেল? ইমো ডট আইএম, ফোর্বস ম্যাগাজিন, স্ট্যাটিস্টা থেকে জানা যায় এসব তথ্য।

ইমো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে অবদান রেখেছে প্ল্যাটফর্মটির বেশ কিছু ফিচার:

ইমোর কিছু নির্দিষ্ট সুবিধার কারণে বাংলাদেশসহ বেশকিছু দেশে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার মধ্যে প্রথমেই বলা যায় ইমোর ইন্টারনেট সাশ্রয়ী ব্যবহার সুবিধা। ইমোতে মূলত বার্তাগুলো কমপ্রেসড হয়ে আসে, ফলে বার্তার আকার ছোট হয়ে যায় এবং ইন্টারনেট ডাটার ব্যবহারও কমে আসে। আর এ কারণে একই পরিমাণ ইন্টারনেট ডাটা দিয়ে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোর তুলনায় ইমোতে অনেক বেশি বার্তা আদান-প্রদান কিংবা বেশি বেশি কল ও ফাইল শেয়ার করা যায়। ইমো ব্যবহারের ফলে বছরে বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের হাজার কোটি টাকা মূল্যের কয়েক কোটি গিগাবাইট ইন্টারনেট সাশ্রয় হয়।

বাংলাদেশে ইমো ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই প্রবাসীদের সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে মধ্য প্রবাসীদের পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে এই অ্যাপ ব্যবহারের আধিক্য দেখা যায়। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অধিকাংশ জনপ্রিয় অ্যাপগুলো ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-এশীয় দেশগুলোতে জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় ইমো।

আরও পড়ুন: প্রক্সি দিয়ে গুচ্ছে চান্স, শাবিপ্রবিতে সাক্ষাৎকারে এসে ধরা

রিয়াদের বাংলাদেশি দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। দেশটিতে ইমোর ওয়েব ট্রাফিক সবচেয়ে বেশি। এছাড়া প্ল্যাটফর্মটিতে সহজ ব্যবহারের ইন্টারফেস, সহজে কন্টাক্ট অ্যাড করা, ফ্রি সাইন-আপ, ১০ জিবি পর্যন্ত ডাটা শেয়ারিং সুবিধা, স্ট্রিমিং সুবিধা ও কন্ট্যাক্ট তালিকায় থাকা সব ইমো ব্যবহারকারীদের তালিকা সহজে পাওয়ার সুবিধা ইমোকে বাংলাদেশে অনেক বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে।


সর্বশেষ সংবাদ