প্রক্সি দিয়ে গুচ্ছে চান্স, শাবিপ্রবিতে সাক্ষাৎকারে এসে ধরা
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:০০ PM , আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৩৮ PM
২০২০-২১ সেশনে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে চান্স পেয়েছেন ইকবাল হোসেন সাইদ নামে এক ভর্তিচ্ছু। পরে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান। জালিয়াতি করে চান্স পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘বি’ ইউনিটের সাক্ষৎকারে এসে তিনি আটক হয়েছেন।
আটকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভর্তি কমিটি তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে। ভর্তি পরীক্ষা তার রোল নম্বর ৩৫১৭৬৩। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আরও পড়ুন: নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক ববি শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এদিন দুপুরে ‘বি’ ইউনিটের সাক্ষাৎকার দিতে আসেন ইকবাল। সাক্ষাৎকার রোর্ডে উত্তরপত্রের স্বাক্ষরের সঙ্গে ভর্তির দিনের স্বাক্ষরের সাথে মিল না পাওয়ায় তাকে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের। পরে তার নাম-পরিচয় লিখতে দিলেও ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রের লেখার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি।
সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তর দেয়া নির্দিষ্ট বিষয়গুলোতে প্রাপ্ত নাম্বার জানতে চেয়েছি তার কাছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম জানতে চেয়েছি। সে কিছুই বলতে পারছে না। এমনকি তার কাছে এসএসসির পূর্ণরূপ জানতে চাইলেও সে বলতে পারেনি। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে এসে চট্টগ্রাম কলেজ শিক্ষার্থী আটক
বিশ্ববিদ্যায়ের ভর্তি কমিটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত ভরিচ্ছু ইকবাল হোসেন সাইদের পিতার নাম রফিকুল ইসলাম। তার মায়ের নাম ফাতেমা বেগম। ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৩৫১৭৬৩। চিটাগং ভেটেরিনারি এ্যাণ্ড এ্যানিমাল সাইন্স ইউনিভার্সিটির ইউসুফ চৌধুরী ভবনের দ্বিতীয় তলার প্রথম কক্ষে তার ভর্তি পরীক্ষার সিট ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে ইকবাল ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেছে। ইকবাল জানান, আতিকুর রহমানের নামে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও জালিয়াত চক্রের সদস্য শহিদুল ইসলামের সাথে তার পরিচয় হয়। পরে সে চুক্তি অনুযায়ী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তি নিশ্চিত করতে তার বন্ধু আতিকের ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক (চকোরিয়া ব্রাঞ্চ) একাউন্টে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাঠান।