সর্বজনীন পেনশনে যতদিন সুবিধা পাবেন গ্রাহক

  © সংগৃহীত

আগামীকাল ১৭ আগস্ট থেকে সর্বজনিন পেনশন কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণকে পেনশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। সোমবার (১৪ আগস্ট) জারি করা বিধিমালা অনুযায়ী ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকরা চারটি স্কিমের মাধ্যমে এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সকল বাংলাদেশি নাগরিক স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। 

এসব স্কিমে যুক্ত হয়ে আজীবন পেনশন সুবিধা পেতে ন্যূনতম ১০ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হবে। তবে পরপর তিন মাস চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে পেনশন হিসাব স্থগিত হয়ে যাবে। এরপর জরিমানাসহ সমুদয় বকেয়া কিস্তি পরিশোধ না করা পর্যন্ত হিসাবটি সচল করা হবে না।

এ কর্মসূচির আওতায় প্রবাসীদের জন্য ‘প্রবাস’, বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত (অনানুষ্ঠানিক খাত) ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’ এবং অতিদরিদ্রদের জন্য ‘সমতা’ এ চারটি স্কিমের কথা উল্লেখ রয়েছে বিধিমালায়। এসব স্কিমে যুক্ত হয়ে বেসরকারি খাতের কর্মচারী বা প্রবাসীরা তাদের মোট চাঁদার চেয়ে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৩০ গুণ থেকে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩১ গুণ অর্থ পেনশন হিসেবে পাবেন।

পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন চাঁদাদাতা। তবে চাঁদাদাতা মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। অর্থাৎ কোনো চাঁদাদাতা যদি ৬০ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে তার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ বছর তার নমিনি পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। অর্থাৎ চাঁদাদাতার বয়সের সাথে পেনশন পাবেন তার নমিনি। যদি চাঁদাদাতা ৭৫ বছরের পর মারা যান তাহলে তার নমিনি আর কোনো পেনশন পাবেন না।

বিধিমালার তথ্যমতে জানা যায়, মারা গেলে অর্থ কে পাবেন এ জন্য চাঁদাদাতা এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন। যেকোনো সময় একজন বা সব নমিনিই পরিবর্তন করে নতুন নমিনি মনোনয়নের সুযোগ থাকবে।

চাঁদাদাতা বা পেনশনধারী মারা গেলে এবং তার মৃত্যুর পর নমিনি মনোনয়ন কার্যকর থাকলে পেনশনের অর্থ নমিনি পাবেন। তবে নমিনি নাবালক হলে পেনশনধারীর মৃত্যুর পর নমিনি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত নমিনির পক্ষে অর্থ তুলতে পারবেন চাঁদাদাতার মনোনয়ন বা নিয়োগ দেয়া যেকোনো ব্যক্তি। তিনিই হবেন নাবালক নমিনির আইনসম্মত অভিভাবক। নমিনি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত ওই ব্যক্তি নাবালক নমিনির প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য হবেন।


সর্বশেষ সংবাদ