ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম মিস করায় ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধর
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৯, ১০:৩১ PM , আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯, ১১:০১ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নিয়মিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করায় হাজী মো. মহসিন হলের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী এলোপাতাড়ি মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী।
মারধরের শিকার মুমিনুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও মহসিন হলের আবাসিক বাসিন্দা। আর মারধরকারী অভিযুক্ত আরফাতুল ইসলাম সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী
ও মহসিন হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। আরাফাত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীর অনুসারী বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী মমিন বলেন, 'সামনে হল ছাত্রলীগ কমিটিকে সামনে রেখে এখন প্রতিদিন প্রোগ্রাম থাকে, আমি ব্যক্তিগত কারণে কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে না পারায় গতকাল রাতে আমাকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে তৃতীয় বর্ষের আরাফাত ভাই আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।'
গণমাধ্যমকে তাৎক্ষণিক না জানানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘গতকালের মারধরের পর আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমি লজ্জিত বোধ করছি, এভাবে কাউকে মারধর করা অকল্পনীয়।’
এ ঘটনার পরে তিনি মানসিক ট্রমায় ভুগছেন বলে জানান এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার স্থলে উপস্থিত থাকা মুমিনুল এর আরেক বন্ধু বলেন, 'বিনা অপরাধে মুমিনকে অমানবিক ভাবে নির্যাতন এর শিকার হতে হয়েছে, তার কান, কাধে এবং গালে এলোমেলো অসংখ্য থাপ্পড় দেয় আরাফাত। ঘটনার পর আমরা আতংকে ভুগছি, হলের কমিটিকে সামনে রেখে এখন জোরপূর্বক ভাবে প্রতিদিন প্রোগ্রাম করতে হয় এতে আমাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।'
এর আগেও আরাফাত এর বিরুদ্ধে গেস্টরুমে মারধর করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বর্ষে গেস্টরুমে এক ছাত্রের চোখ ফাটিয়ে দিয়েছিল বলে জানা যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আরাফাত তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'গতকাল তো আমাদের হলে গেস্টরুমই হয়নি। তাহলে আমি কিভাবে মারবো, কেন মারবো?'
মারধরের অভিযোগ এনে আরাফাতকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে কে বা কারা তাকে ফাঁসাতে চাচ্ছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য আরাফাত দিতে পারেনি।
মারধরের বিষয়ে জানার জন্য মহসিন হলের প্রাধ্যক্ষ নাজমুল হক ভূঁইয়াকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।