অভিযোগে ছাত্রদল-ছাত্র ইউনিয়ন

ছাত্রলীগের অনিয়ম ‘দেখেও না দেখার ভান’ করছে প্রশাসন

  © টিডিসি ফটো

১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছে জাতায়তাবাদী ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়ন। তারা বলছেন,  ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। তারা রঙিন পোস্টার করেছে। বিভিন্ন হলে হল সংসদ প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা দেখেও না দেখার ভান করছেন। বিষয়গুলো প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা বলছেন, ‘দেখছেন’। কিন্তু কিছু করছেন না।

রবিবার মধুর ক্যান্টিনে এ অভিযোগ করেন ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা। এসময় ছাত্রলীগের নানা অনিয়ম ও প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার ব্যাপারে অভিযোগ করেন তারা। যদিও বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে ছাত্রলীগ।

ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, ছাত্রলীগের অনিয়ম প্রশাসনের দেখেও না দেখার বিষয়টা আমাদের মধ্যে আরো আশঙ্কা তৈরী করছে যে সষ্ঠু ভোট হবে কিনা। আমরা কিছু দাবি জানিয়েছিলাম। সমগ্র ক্যাম্পাসকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। কিন্তু আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমরা মনে করি সমগ্র আয়োজন একটি নিদিষ্ট দলকে জেতানোর জন্য করা হয়েছে।

এ সময় তিনি সুফিয়া কামাল হলের অভিযোগ করে বলেন, সুফিয়া কামাল হলে মেয়েদের আইডি কার্ড নবায়ন করতে দেওয়া হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, ১১ মার্চের পরে করতে পারবে। প্রশাসন এর মাধ্যমে বার বার ভোটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করছেন।

ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নানা নির্যাতন করা হয়েছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর সাথে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছে বলে দাবি করেন তিনি।

এ সময় ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের রঙিন পোস্টার সাঁটানোর দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার আগেই তিনি প্রচারণা করেছেন। আমি এ ব্যাপারে আজ (রবিবার) প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেবো।

এদিকে, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা সবাইকে নির্বাচনে আহ্বান জানাই। যদি কারো নির্বাচনী অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয় এবং সে যদি ছাত্রলীগ নাও করে থাকে; তাহলেও ছাত্রলীগ তার পাশে থাকবে।

আবাসিক হলে অন্য প্যানেলের নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতির কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এমন ক্যারেক্টার ‘এসাসিনেশন’ করে ছাত্রলীগকে দায়ী করে মূলত ভোটের রাজনীতির সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজকে যারা অভিযোগ তুলছে, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে প্যানেল দিতে পারে নাই। তার মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। এমন নোংরা রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে তাদেরকে স্বচ্ছ রাজনীতি করার আহ্বান জানাই।’


সর্বশেষ সংবাদ