যমুনা থেকে চুরি করে বসুন্ধরায় মোবাইল বিক্রি টিকটকারদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২২, ০৩:০৭ PM , আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২, ০৩:৪৭ PM
যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল ফোনের একটি শোরুমে চুরির ঘটনায় রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তিন টিকটকার চোর গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা চুরি করা মোবাইলগুলো নিয়ে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দোকান ও দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্রি করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৫টি আইফোন, স্যামসাং ও সনি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজন গ্রেফতাররা হয়েছেন, অনিক হাসান (২২), নাহিদ হাসান (১৯) ও নাদিম মোহাম্মদ সাগর (১৮)।
তিনি জানান, রোববার সকালে যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল ফোনের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স থেকে চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা টিকটকের আড়ালে চুরি করতেন। তাদের চুরি করে বিক্রি মালামালের মধ্যে আইফোন, স্যামসাং ও সনি ব্র্যান্ডের অনেক মোবাইল রয়েছে।
এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি সনি এক্সপেরিয়া-৮, তিনটি সনি এক্সপেরিয়া-৫, একটি স্যামসাং গ্যালাক্সি-এ৩২, চারটি স্যামসাং গ্যালাক্সি-এস৯+, চারটি স্যামসাং গ্যালাক্সি-এস১০+, একটি স্যামসাং নোট-৯, একটি স্যামসাং নোট-২০, একটি স্যামসাং নোট-১০+, তিনটি আইফোন-৮, একটি আইফোন ৮+, চারটি আইফোন-এক্স, দুইটি আইফোন এক্সএস, সাতটি আইফোন এক্সআর, একটি আইফোন এক্সএস ম্যাক্স, চারটি আইফোন-১১, তিনটি আইফোন-১১ প্রো, একটি আইফোন-মিনি ও একটি আইফোন-১২ প্রোসহ মোট ৪৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
আরও পড়ুন: শাশুড়িকে পালিয়ে বিয়ে করার মামলায় ৯ বছর পর গ্রেফতার জামাই
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বসুন্ধরা ও যমুনা ফিউচার পার্ক মার্কেটে লাগেজ থেকে আনা মোবাইলগুলো সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। একদিকে তারা সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে অন্যদিকে মোবাইল যারা কিনছে সেসব গ্রাহক মোবাইল রেজিস্ট্রেশন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই মোবাইলগুলো চুরি হওয়ার পরে আইএমইআই নম্বর না থাকার কারণে সেগুলো উদ্ধার সম্ভব হয় না।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, একসময় গুলিস্তানসহ আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটে মোবাইল কেনাবেচা হতো। কিন্তু এই চোরদের গ্রেফতারের পর জানা গেল তারা নামী-দামি মার্কেটে মোবাইল বিক্রি করে। যারা চোরাই মোবাইল বিক্রি করে বা ভবিষ্যতে করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।