এলসি প্রতারণা, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক শীর্ষ দুই কর্তাসহ ৭ জনের পরোয়ানা

ইসলামি ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তা
ইসলামি ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তা   © সংগৃহীত

আমদানিকারক এক খেজুর ব্যবসায়ির সঙ্গে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)সহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা এ আদেশ দেন। এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার সাত আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও  পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল করিম।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়া সাতজন হলেন, ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ওবাইদুল্লাহ মাসুদ, সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা, খুলশী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোরশেদুল আলম, সাবেক সেকেন্ড অফিসার মো. মহিউদ্দিন, সাবেক বৈদেশিক মুদ্রা কর্মকর্তা মুহাম্মদ জুবাইর এবং জুনিয়র অফিসার মুহাম্মদ রাফায়াতন এসইভিপি ও হেড অব জোন (দক্ষিণ) এম. জুবাইর আজম হেলালী

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১–২২ সালে সৌদি আরব থেকে খেজুর আমদানির জন্য খুলশী শাখার মাধ্যমে অন্তত ২৫টি এলসি খোলেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নুরুল হুদা। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবারই তিনি এলসির বিপরীতে সমপরিমাণ অর্থ, খালি চেক এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকে জমা রাখতেন।

ওই সময় করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে  যাওয়ায় ব্যবসায়িক মন্দা দেখা দিলে কিছুদিন ব্যবসা বন্ধ থাকে। এই সুযোগে নুরুল হুদার অজ্ঞাতে তার নামে অতিরিক্ত এলসি খোলেন শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে এসব এলসির অর্থ পরিশোধ করা না হওয়ায় ব্যবসায়ীর জমা রাখা চেক ডিজঅনার হয় এবং তার বিরুদ্ধে চেকের মামলার মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রতিকার না পেয়ে নুরুল হুদা ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডি ও শাখা কর্মকর্তাসহ মোট নয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, সিআইডির প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার তালিকায় থাকা বাকি দুজনের মধ্যে একজনের নাম ভুল ছিল এবং অপরজন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

২০২৫ সালের ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর আদালতে দায়ের হওয়া এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৪২০, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন, যা শেষে প্রতিবেদনে সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence