৬০ হাজার ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন  © সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬০ হাজার ইয়াবা বড়ি, দুই লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ টাকা এবং বিভিন্ন সরঞ্জামসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) চট্টগ্রাম ‘খ’ সার্কেলের পটিয়া মুজাফ্ফরাবাদ কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন (৪১) রয়েছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর থানার মো. আবদুল মতিনের ছেলে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের খরনা এলাকায় কাদের এলপিজি ফিলিং স্টেশনের সামনে এই অভিযান চালানো হয়।

র‍্যাবের তথ্যমতে, পটিয়া থানা এলাকায় টহলরত র‍্যাব সদস্যরা খবর পান, কক্সবাজার থেকে দুটি মাইক্রোবাসে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বড়ি চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে। খবর পেয়ে র‍্যাব মহাসড়কের খরনা এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে মাদকবাহী মাইক্রোবাস দুটি থামানোর নির্দেশ দিলে চালকরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ধাওয়া করে দুটি মাইক্রোবাসই আটক করা হয়।

তল্লাশিতে ডিএনসির এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুনের প্যান্টের পকেট থেকে ১০টি ইয়াবা বড়ি, একটি ওয়াকিটকি সেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত কোট ও ক্যাপ, এবং গাড়ির ভেতর থেকে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ টাকা উদ্ধার করা হয়। অপর মাইক্রোবাসটির চালকের আসনের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় বাকি ৬০ হাজার ইয়াবা বড়ি।

র‍্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন : বিএনপির গুলশান অফিসের কাছে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

গ্রেপ্তার হওয়া বাকি চারজন হলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের মো. ফিরোজের ছেলে মো. মাঈনুদ্দীন (৩০), চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার পূর্ব হাবিবুরপাড়ার মো. রাশেদুল আলম (৩৮) ও পৌরসভার আল্লাই এলাকার মো. জসিম উদ্দিন (৪১) এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মো. জুনায়েদ তানভীর তরফদার (২৯)। এ অভিযান চলাকালে একটি মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে যান।

মাদক উদ্ধারের ঘটনায় গত রোববার পটিয়া থানায় একটি মামলা হয়। গ্রেপ্তার পাঁচজন ছাড়াও পলাতক চালককে মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বলে জানান র‍্যাব কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুনকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পটিয়া থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দে বলেন, অভিযানে জব্দ হওয়া দুটি মাইক্রোবাসের মধ্যে একটির মালিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন। অন্যটি সেই পলাতক আসামি মাইক্রোবাসের চালক। গ্রেপ্তার আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ