বয়স কমিয়ে শিশু দেখিয়ে জামিন আদায়ের অভিযোগ আইনজীবী-পিপির বিরুদ্ধে
- গাইবান্ধায় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৩৪ AM , আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:০২ AM
গাইবান্ধায় ২৫ বছর বয়সী এক আসামিকে শিশু হিসেবে উপস্থাপন করে জাল জন্মসনদ জমা দিয়ে জামিন আদায়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আইনজীবী শেফাউল ইসলাম ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আবু বকর সিদ্দিক ছানার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় এক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্ট ও বার কাউন্সিলে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৫ জুলাই সরকারি ভাতা হ্যাক করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে পলাশ রানা (২৫)সহ চারজনকে গ্রেফতার করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। পরে থানা পুলিশ ডিজিটাল জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে (ধারা ৪০৬/৪২০/৪১৯/১৭০/৫১১/৩৪) মামলা দায়ের করে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। মামলায় পলাশ রানা ও সুমন মিয়ার পক্ষে ৯৩৫/২৫ নম্বর মিস কেসে গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে শুনানির তারিখ ধার্য হয় ১২ আগস্ট।
আরও পড়ুন: আজ সারাদেশে বিক্ষোভ করবে কারিগরি শিক্ষার্থীরা
এর মধ্যেই আইনজীবী শেফাউল ইসলাম দুই সন্তানের জনক পলাশ রানার বয়স ১৬ বছর দেখিয়ে জাল জন্মসনদ তৈরি করেন এবং পিপি আবু বকর সিদ্দিক ছানার সহযোগিতায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন দাখিল করেন। অভিযোগ রয়েছে, আদালতের নির্ধারিত তারিখের আগেই ৩ আগস্ট ট্রাইব্যুনালে বিচারক অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় জামিন মঞ্জুর দেখিয়ে আসামিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তিন লাখ টাকার বিনিময়ে এ অবৈধ জামিন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, জেলা জজ আদালতে একই মামলার জামিন আবেদন পেন্ডিং থাকা অবস্থায় অন্য আদালতে তথ্য গোপন করে জামিন আদায় করা বেআইনি এবং গুরুতর পেশাগত অসদাচরণের শামিল।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, জাল দলিল উপস্থাপন ও একই মামলায় একাধিক আদালতে জামিন আবেদন করা গুরুতর অপরাধ এই অপরাধে আইনজীবীদের লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর শাস্তিযোগ্য। গাইবান্ধা জেলা জজ আদালত ও নারী-শিশু ট্রাইব্যুনাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিলেও এখনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।