গুলশানে চাঁদাবাজি
সেই রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৭ PM , আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৪১ AM
রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যমানের চারটি চেক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার রিয়াদের বাসা থেকে চারটি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। চেকগুলোতে থাকা টাকার পরিমাণ যোগ করলে এর মূল্য দাঁড়ায় দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ সংগঠক ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সেলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদের নাখালপাড়ার বাসায় সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ অভিযানে চারটি চেকের পাশাপাশি প্রায় ২০ লাখ টাকার এফডিআরের নথিও উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে রিয়াদসহ অন্যান্য আসামিদের আদালতে তোলা হয়। চাঁদা দাবির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পাঁচ যুবক। শাম্মী আহমেদ পলাতক থাকায় তার স্বামীর কাছেই এ চাঁদা দাবি করা হয়। কয়েকদিন আগে ওই যুবকরা বাসায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন। পরে তারা আবার স্বর্ণালঙ্কার আনতে গেলে বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় পুলিশ রিয়াদসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় ছয়জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ জুলাই আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বাদীর গুলশান-২ এর বাসায় গিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার চাঁদা দাবি করেন। তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে আওয়ামী লীগের ও স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন। ভয়ে তাদের ১০ লাখ টাকা দেন। পরে ১৯ জুলাই তারা আবার বাকি ৪০ লাখ টাকার জন্য বাসায় আসে এবং সেদিনও হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর ২৬ জুলাই তারা আবার চাঁদা নিতে এলে গুলশান থানা পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে।